টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচে টানা তিনটি সেঞ্চুরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। চতুর্থ ম্যাচে ব্যাট হাতে আগ্রাসী শুরু করেন বটে, তবে বড় রানের ইঙ্গিত দিয়েও আউট হয়ে বসেন। এবার পঞ্চম ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ফের সেঞ্চুরি করলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। চলতি বিজয় হাজারে ট্রফির পাঁচ ম্যাচে মাঠে নেমে চার নম্বর শতরান করলেন মহারাষ্ট্র তথা চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা ওপেনার।
এলিট গ্রুপ-ডি'র প্রথম ম্যাচে রুতুরাজ গায়কোয়াড় মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১১২ বলে ১৩৬ রান করে আউট হন। ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ১৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৪৩ বলের ইনিংসে গায়কোয়াড় ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। কেরলের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে মহারাষ্ট্র অধিনায়ক ১২৪ রান করে আউট হন। ১২৯ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচে ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ২১ রান করে আউট হন রুতুরাজ। এবার চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ১৬৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন গায়কোয়াড়। ১৩২ বলের ইনিংসে তিনি ১২টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন।
সুতরাং চলতি বিজয় হাজারে ট্রফির পাঁচ ম্যাচে গায়কোয়াড় সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ১৩৬, অপরাজিত ১৫৪, ১২৪, ২১ ও ১৬৮ রান। তাঁর সাকুল্যে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫০.৭৫ গড়ে ৬০৩ রান।
চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার সুবাদে রুতুরাজ বিরাট কোহলি, পৃথ্বী শ ও দেবদূত পাডিক্কালের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন। বিজয় হাজারে ট্রফির এক মরশুমে সবথেকে বেশি ৪টি করে সেঞ্চুরির করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেন গায়কোয়াড়।
কোহলি ২০০৯-১০ মরশুমে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিজয় হাজারে ট্রফিতে চারটি সেঞ্চুরি করেন। পরে ২০২০-২১ মরশুমে পৃথ্বী ও পাডিক্কাল উভয়েই চারটি করে শতরান করেন। স্বাভাবিকভাবেই বিজয় হাজারে ট্রফির এমন পারফর্ম্যান্সের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ান ডে সিরিজে গায়কোয়াড়কে দলে না নিলে বিতর্ক হবে বিস্তর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।