একে তো কোয়ার্টার ফাইনালের মতো নক-আউট ম্যাচের চাপ ছিলই। তার উপর অসমের ঘাড়ে সাড়ে তিনশো রানের বিশাল বোঝা চাপিয়ে দেয় জম্মু-কাশ্মীর। ইনিংসের বিরতিতে অসমকে কার্যক ব্যাকফুটে দেখাচ্ছিল। সেখান থেকে পালটা লড়াইয়ে তারা শেষ আটের হার্ডল টপকে যায় রিয়ান পরাগের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে। অবশ্য তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন ঋষভ দাস। রিয়ান-ঋষভের যুগলবন্দিতে জম্মু-কাশ্মীরকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইলের টিকিট নিশ্চিত করে অসম।
আমদাবাদে টস জিতে জম্মু-কাশ্মীরকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় অসম। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে জম্মু-কাশ্মীর। শুভম খাজুরিয়া ৮টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ১২০ রান করে আউট হন। হেনান নাজির ১১৩ বলে ১২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ বলে ৫৩ রান করেন ফাজিল রশিদ। অভিনব চৌধুরী ও রাজ্জাকউদ্দীন আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন। ১০ ওভারে ৬০ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন রিয়ান পরাগ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অসম ৬.৩ ওভারে মাত্র ৪৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে ঋষভ দাসকে সঙ্গে নিয়ে পালটা লড়াই শুরু করেন রিয়ান পরাগ। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা ২৭৭ রান যোগ করেন। রিয়ান ১২টি চার ও ১২টি ছক্কার সাহায্যে ১১৬ বলে ১৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে এটি তাঁর তৃতীয় শতরান। এর আগে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ১১৭ ও সিকিমের বিরুদ্ধে ১২৮ রান করেন পরাগ।
রিয়ান আউট হলেও দলকে ম্যাচ জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ঋষভ দাস। ৪৬.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৫৪ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে অসম। ঋষভ ১১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১৮ বলে ১১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।