৫০ ওভারের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ, সবথেকে বেশি রানের ব্যক্তিগত ইনিংস, সর্বোচ্চ দলগত সংগ্রহ, সব থেকে বড় ব্যবধানে জয়। বিজয় হাজারে ট্রফিতে আক্ষরিক অর্থেই ইতিহাস গড়ল তামিলনাড়ু।
অরুণাচলপ্রদেশের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যাট করে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৫০৬ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে তামিলনাড়ু। বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৫০০ রানের গণ্ডি টপকায় তারা। সেই নিরিখে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলকে টপকে দুর্দান্ত এক বিশ্বরেকর্ড গড়ে তামিলনাড়ু। ২০২২ সালেই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে ৪৯৮ রান সংগ্রহ করেছিল।
পরে পালটা ব্যাট করতে নামা অরুণাচলপ্রদেশকে ২৮.৪ ওভারে মাত্র ৭১ রানে অল-আউট করে দেয় তামিলনাড়ু। সুতরাং ৪৩৫ রানের বিরাট ব্যাবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে তারা। জয়ের ব্যবধানের নিরিখেও এটি বিশ্বরেকর্ড। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের কোনও দল আগে কখনও এত বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতেনি। আগের রেকর্ড ছিল সামারসেটের নামে। তারা ১৯৯০ সালে ডেভনকে ৩৪৬ রানের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।
তামিলনাড়ুর হয়ে দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেন নারায়ন জগদীশান। তিনি ২৫টি চার ও ১৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৪১ বলে ২৭৭ রানের অতিমানবিক ইনিংস খেলে আউট হন। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে কোনও ব্যাটসম্যানের এটিই সব থেকে বেশি রানের ব্যক্তিগত ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড।
এছাড়া অপর ওপেনার সাই সুদর্শন ১৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০২ বলে ১৫৪ রান করে আউট হন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সুদর্শন ও জগদীশান ওপেনিং জুটিতে ৪১৬ রান তোলেন। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে যে কোনও জুটিতে এটিই সব থেকে বেশি রানের পার্টনারশিপের বিশ্বরেকর্ড।
পরে তামিলনাড়ুর হয়ে ১২ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন এম সিদ্ধার্থ। এছাড়া রঘুপতি ও এম মহম্মদ ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নিয়েছেন সাই কিশোর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।