বহু দিন পর দুরন্ত ছন্দে পাওয়া গেল ত্রিপুরার অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহাকে। মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ঋদ্ধি। তবে শেষ রক্ষা হল না ত্রিপুরার। চণ্ডীগড়ের কাছে মাত্র ৪ রানে হেরে গেল ঋদ্ধির টিম।
ঋদ্ধি মঙ্গলবার ১০৬ বলে ১০১ রান করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ছ’টি চার এবং তিনটি ছক্কা দিয়ে। ত্রিপুরাকে প্রায় জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছিলেন ঋদ্ধি। কিন্তু তিনি যখন আউট হন, তখন ত্রিপুরার প্রয়োজন মাত্র ১০ বলে ১৪ রান। তবে তাঁর উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সেই ১৪ রানই ত্রিপুরা করে উঠতে পারল না।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে সরফরাজ খান, যশস্বীর সেঞ্চুরি ব্যর্থ করে সার্ভিসেসের কাছে হার মুম্বইয়ের
ঋদ্ধি ছাড়াও ত্রিপুরার রজত দে ৭৮ রান করেন। রান পাননি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মাত্র ১৪ রান করেন। প্রসঙ্গত, ঋদ্ধি এবং সুদীপ এই মরশুমে সিএবি-র সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা দলে যোগ দেন।
বিজয় হাজারে ট্রফির গ্রুপ এ-র ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে চণ্ডীগড় করে নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান। অধিনায়ক মনন ভোরা রান না পেলেও অর্ধশতরান করেন শিবম ভাম্ব্রি। ৫৯ রান করেন তিনি। গৌরব পুরি ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৪৮ রান করেন ভাগমেন্দের লেদার। ৪৩ রান করেন আরসলান খান। ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন গুরিন্দর সিং। ত্রিপুরার রানা দত্ত এবং চিরঞ্জিত পাল ২টি করে উইকেট নিয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ বলে ছক্কা মেরে বাংলাকে হারালেন যুব বিশ্বকাপজয়ী তারকা
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড় করছিল ত্রিপুরা। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে তারা। পঞ্চম উইকেটে ঋদ্ধি এবং রঞ্জিত দলের হাল ধরেন। ১৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তারা। রঞ্জিত আউট হওয়ার পর ঋদ্ধি লড়াই চালাচ্ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা করতে পারলেন না ত্রিপুরা অধিনায়ক। নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫১ রান করে ত্রিপুরা। চণ্ডীগড়ের রোহিত ধান্ডা ৫ উইকেট তুলে নেন। ৩ উইকেট নেন সন্দীপ শর্মা।
এখনও পর্যন্ত বিজয় হজারেতে তিনটি ম্যাচ খেলেছে ত্রিপুরা। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ এবং চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে হারলেও হায়দরাবাদকে হারিয়েছেন ঋদ্ধিরা। গ্রুপ এ তে রয়েছে ত্রিপুরা। গ্রুপ টেবিলে আট দলের মধ্যে সপ্তম স্থানে তারা। সেই গ্রুপে শীর্ষে সৌরাষ্ট্র। তিন ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। সমসংখ্যক পয়েন্ট রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, চণ্ডীগড় এবং হায়দরাবাদ। ত্রিপুরা ছাড়াও ৪ পয়েন্ট রয়েছে গুজরাত। এখনও কোনও পয়েন্ট পায়নি মণিপুর।