স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েও ক্রুণাল পান্ডিয়াদের বরোদার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে এবারের বিজয় হাজারে ট্রফির যাত্রা শুরু করল বাংলা দল। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে মাত্র ২৩০ রান করলেও বরোদাকে বোলারদের দাপটে মাত্র ২০৩ রানেই রুখে দেয় সুদীপ চ্যাটার্জির নেতৃত্বাধীন বাংলা দল।
ম্যাচের শুরটা কিন্তু একেবারেই ভালভাবে করতে পারেনি বাংলা। প্রথম ওভারেই কোন রান না করেই সাজঘরে ফিরে যান শ্রীবৎস গোস্বামী। অধিনায়ক সুদীপ ও স্বভাববিরুদ্ধ এক অত্যান্ত ধীর গতির ইনিংস (৪০ বলে ১৪) খেলেন। তবে তৃতীয় উইকেটে অভিষেক দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন কাইফ আহমেদ। অভিষেক (৯০ বলে ৬২) ও কাইফ (৯৩ বলে ৬৭), দুইজনেই অর্ধশতরান করলেও ইনিংসে রানের গতি খুবই কম ছিল। ঋত্বিক রায় চৌধুরী (৩৬ বলে ৪৮) ইনিংসের হাল কিছুটা ফিরিয়ে লড়াই করার মতো ২৩০ রানে পৌঁছে দেয় বাংলাকে। অতীত শেঠ বরোদার হয়ে সর্বাধিক চার উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাটে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আকাশদীপের বলে শাশ্বত রাওয়াত শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলেও বরোদা অধিনায়ক কেদার দেবধর (৫৩ বলে ৩৫) ও পি এ কুমার (৭০ বলে ৩৮) ইনিংসকে স্থিরতা দেন। কেদার ফেরার পর ক্রুণালও (৫৬ বলে ৩৯) রান পান। তবে বাংলা ইনিংসের মতো বরোদা ইনিংসেও রান রেট ছিল অত্যন্ত মন্থর। এই জায়গায় হার্দিক পান্ডিয়ার উপস্থিতি হয়তো পার্থক্য ফেললেও ফেলতে পারত। তবে হার্দিক নিজের রিহ্যাব সারতে টুর্নামেন্ট খেলবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।
সকল ব্যাটাররাই মোটামুটি স্টার্ট পেলেও তা বড় রানে কেউই রূপন্তরিত করতে পারেননি। ক্রুণালই সর্বাধিক রান করেন বরোদার হয়ে। শেষের দিকে কাকাদে (৩২ বলে ২৮) ও মিতেশ প্যাটেল (১৭ বলে ২০) রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও নিরন্তর উইকেট হারানোই বরোদার কাল হয়। বাংলার হয়ে আকাশদীপ তিন, মুকেশ কুমার, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও শাহবাজ আহমেদ দু'টি করে উইকেট নেন। অভিষেক ম্যাচে গীত পুরি কোনো উইকেট পাননি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।