শক্তিশালী কর্নাটকের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে জিতেও বিজয় হাজারে ট্রফির নক-আউটে যাওয়া হল না বাংলার। অন্যদিকে, শেষ ম্যাচে হেরেও প্রি-কোয়ার্টারের টিকিট হাতে পেয়ে গেলেন মণীশ পান্ডেরা। পুদুচেরির কাছে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পরাজিত হওয়াই এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের নক-আউটের পথে।
শেষ ম্যাচে কর্নাটককে একতরফাভাবে হারালে বাংলার নক-আউটে যাওয়ার ক্ষীণ একটা সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছিল। মণীশ পান্ডেদের শেষমেশ হারিয়ে দিলেও নেট রান-রেটের নিরিখে ছিটকে যেতে হয় বাংলাকে। এলিট গ্রুপ-বি'র এক নম্বরে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তামিলনাড়ু। যদিও শেষ ম্যাচে তারা হেরে যায় বরোদার কাছে। কর্নাটক দ্বিতীয় দল হিসেবে নক-আউটে চলে যায়।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কর্নাটক নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৫২ রান তোলে। ক্যাপ্টেন মণীশ পান্ডে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৮৫ বলে ৯০ রান করে আউট হন। রবিকুমার সামর্থ ১৭, রোহন কদম ৩৭, করুণ নায়ার ২৫ ও প্রবীণ দুবে অপরাজিত ৩৭ রান করেন। প্রদীপ্ত প্রামানিক ৪৮ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায়। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন আকাশ দীপ ও শাহবাজ আহমেদ।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলা ৪৮.৩ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অভিষেক দাস ৫৮, অনুষ্টুপ মজুমদার ৮, সুদীপ চট্টপাধ্যায় ৬৩, ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরি ৪৯ ও শাহবাজ আহমেদ অপরাজিত ২৬ রান করেন। ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলা।
এলিট গ্রুপ-বি:-
১. তামিলনাড়ু: ম্যাচ-৫, জয়-৩, হার-২, পয়েন্ট-১২, নেট রান-রেট: +১.০৫২।
২. কর্নাটক: ম্যাচ-৫, জয়-৩, হার-২, পয়েন্ট-১২, নেট রান-রেট: +০.৭৮৯।
৩. বাংলা: ম্যাচ-৫, জয়-৩, হার-২, পয়েন্ট-১২, নেট রান-রেট: -০.২৩৫।
৪. পুদুচেরি: ম্যাচ-৫, জয়-৩, হার-২, পয়েন্ট-১২, নেট রান-রেট: -১.৩৬০।
৫. বরোদা: ম্যাচ-৫, জয়-২, হার-৩, পয়েন্ট-৮, নেট রান-রেট: +০.২৯০।
৬. মুম্বই: ম্যাচ-৫, জয়-১, হার-৪, পয়েন্ট-৪, নেট রান-রেট: -০.৭০৭।