অল-রাউন্ডার হিসেবে জাতীয় দলে হার্দিক পান্ডিয়ার যোগ্য পরিবর্ত হয়ে উঠতে পারেন, ক্রমাগত সেটাই প্রমাণ করে চলেছেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। বরং বলা ভালো যে, নিজেকে একজন পেসার অল-রাউন্ডার হিসেবে ক্রমাগত প্রতিষ্ঠিত করছেন কেকেআরের তারকা ওপেনার।
আইপিএলে ব্যাট হাতে চমকে দিয়েছেন সকলকে। জাতীয় দলে আবির্ভাবেই ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ঘরোয়া সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও ফর্মে ছিলেন বেঙ্কটেশ। সেই ধারাবাহিকতা তিনি বজায় রাখেন বিজয় হাজারে ট্রফিতেও।
মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৪ রান করে আউট হন বেঙ্কটেশ। ১০ ওভার বল করে ৫৯ রানের বিনিময়ে তুলে নেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট। পরে কেরলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ১১২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে ক্রিজ ছাড়েন নাইট তারকা। ৮৪ বলের ঝোড়ো ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। বল হাতে ৫৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন বেঙ্কটেশ। এবার উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ফের ঝড় তোলেন তারকা অল-রাউন্ডার।
উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ বলে ৭১ রান করে আউট হন আইয়ার। বল হাতে ৫৮ রানের বিনিময়ে তুলে নেন জোড়া উইকেট। মধ্যপ্রদেশ ম্যাচ জেতে ৭৭ রানের ব্যবধানে। সুতরাং, তিন ম্যাচে একটি শতরান ও একটি অর্ধশতরান-সহ বেঙ্কটেশ আইয়ার ১৯৭ রান করেন। উইকেট নেন ৬টি।
প্রথমে ব্যাট করে মধ্যপ্রদেশ ৭ উইকেটে ৩৩০ রান তোলে। অভিষেক ভাণ্ডারী ১০৬ রান করেন। শুভম শর্মা ৭০ রানের যোগদান রাখেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে উত্তরাখণ্ড ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৩ রানে আটকে যায়। ক্যাপ্টেন জয় বিস্তা করেন ৫৩ রান। দীক্ষাংশু নেগি করেন ৭৫ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।