ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের শুরু থেকেই দুই দলের প্লেয়ারদের মধ্যে নানা তিক্ত ঘটনা ঘটে চলেছিল। সোমবার রাতে সব দ্বন্দ্ব ভুলে সকলের আগে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিই।
ব্রিটিশ ক্রিকেটারদের সঙ্গে নানা বিষয়ে ঝামেলা লেগেইছিল ভারতের। বিশেষ করে অ্যান্ডারসনের সঙ্গে তো বারবার ঝামেলায় জড়াতে দেখা গিয়েছে কোহলি ব্রিগেডকে। কখনও মহম্মদ সিরাজ, কখনও জসপ্রীত বুমরাহ, কখনও আবার ভারত অধিনায়কের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়েও জড়িয়েছেন অ্যান্ডারসন। লর্ডস টেস্টের জয়ের পর বিরাট কোহলি নিজেই এগিয়ে গিয়ে অ্যান্ডারসন এবং মার্ক উডের সঙ্গে হাত মেলান। সমস্ত ঝামেলা ভুলে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান ভারত অধিনায়ক।
বিশেষ করে লর্ডসে গত পাঁচ দিনে কোহলি, অ্যান্ডারসন, বুমরাহ, বাটলার, রুট, রবিনসনদের মধ্যে নানা ছোটখাটো ঝামেলার ঘটনা, বা স্লেজিং লেগেইছিল। তবে জেমস অ্যান্ডারসনদের লর্ডসে ১৫১ রানে হারিয়ে কিন্তু ভারত যোগ্য জবাব দিয়েছে। পাশাপাশি বন্ধুত্বেরও হাত বাড়িয়েছে।
সোমবার রাতে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে ভারত। চতুর্থ দিনের শেষে ভারত ১৮১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল। পঞ্চম দিনের শুরুতেই ২২ রান করে আউট হয়ে যান ঋষভ পন্ত। তখন দলের রান ১৯৪। পন্ত আউট হওয়ার পর পরই আউট হয়ে যান ইশান্ত শর্মাও (১৬)। তখন ২০৯ রানে ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছে। সেখান থেকে দলের মান রক্ষা করেন মহম্মদ সামি এবং জসপ্রীত বুমরাহ। এই দুই ক্রিকেটারের সৌজন্যে ৮ উইকেটে ২৯৮ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিরাট কোহলি। সামি অপরাজিত থাকেন ৫৬ রান করে। বুমরাহ ৩৪ রানে নট আউট।
বল হাতে প্রথম দু'ওভারেই দুই ওপেনারকে ফেরান বুমরাহ এবং সামি। প্রথম ওভারে শূন্য রানে রোরি বার্নসকে ফেরান বুমরাহ। তার পরের ওভারে সামি ফেরান ডোম সিবলেকে। শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। তার পর থেকে ইংল্যান্ড পুরোটাই ড্র করার জন্য ম্যাচ খেলেছে। বেশি সতর্ক হতেই গিয়েই বরং একের পর এক উইকেট হারিয়েছে তারা। কার্যত লাঞ্চের কিছু সময় পর থেকেই ব্যাট করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। তবু ড্র করতে পারলেন না জো রুটরা। আর পুরো কৃতিত্ব ভারতীয় বোলারদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।