মানুষের প্রত্যাশা, নিজের প্রত্যাশা - দুইয়ের চাপের বোঝা একটা সময় অসহনীয় উঠেছিল। পুরনো ছন্দে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কিছুতেই সেটা করতে পারছিলেন না। সেই পরিস্থিতিতে নিজেকে কিছুটা বুঝিয়েছিলেন। পিছিয়ে গিয়েছিলেন কয়েকটি পা। তাতেই ফিরে পেয়েছেন। এমনই জানালেন বিরাট কোহলি।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে বিরাট শতরান করেছেন। ৮৭ বলে ১১৩ রান করেন বিরাট। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন। তারপর সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে একেবারে খোলামেলাভাবে কথা বলেন। টানা কয়েক বছর একেবারে বিশ্ব ক্রিকেটকে রাজত্ব করার পর ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন বিরাট। তারপর কীভাবে মাঠে ফিরে এসেছিলেন, তা নিয়ে সূর্যকে জানান ভারতীয় তারকা।
বিরাট কী বলেছেন?
‘কোনও কোনও ক্ষেত্রে হয় যে মানুষকে তোমায় আলাদাভাবে দেখতে শুরু করেন। তুমিও এখন আরও অনেক ম্যাচ খেলতে থাকবে। তোমায় নিয়েও এরকম হবে। মানুষ প্রত্যাশা করবেন যে সূর্য যখন মাঠে নেমেছে, তখন দারুণ খেলবেই। সেই প্রত্যাশার চাপের মধ্যে (একই ছন্দে) খেলে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। যতক্ষণ তোমার ফর্ম ভালো থাকে, তখন ওই বিষয়গুলি ঠিকভাবে এগিয়ে যায়। নির্দিষ্ট ছন্দে এগিয়ে যায়।’
‘কিন্তু একটু ফর্ম পড়লেই (সমস্যা শুরু হয়)। আমার ক্ষেত্রে যেমন হতাশা বাড়ছিল। আমি আগের মতোই খেলতে চাইছিলাম। মানুষের প্রত্যাশা কী আছে; আমি এরকম খেলি, আমায় এরকম খেলতে হবে - এই জাতীয় ভাবনা চেপে বসেছিল। কিন্তু ক্রিকেট আমায় সেটা করতে দিচ্ছিল না। আমি আলাদাই একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। তার ফলে যেখানে আমার ক্রিকেট ছিল, তার থেকে অনেক দূরে ছিলাম আমি। কারণ প্রত্যাশা, চাহিদা পুরোপুরি আমার উপর চেপে বসেছিল।’
‘তখনই আমি অনুভব করেছিলাম যে নিজের বাস্তব ছবিটা থেকে পালাতে পারব না। আমি এই মুহূর্তে যেরকম, সেটা স্বীকার করতে হবে। আমি যখন ভালো খেলতে পারছি না, তখন আমি সবথেকে খারাপ খেলোয়াড় বলে স্বীকার করতে হবে। ওই বিষয়টি অস্বীকার করা যাবে না। সেটা অস্বীকার করছিলাম বলে আমি হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলাম। আমি নিজের বৃত্তের মধ্যে খিটখিটে হয়ে যাচ্ছিলাম। যেটা একেবারেই ঠিক নয়। কিন্তু সেটা নিজের চারপাশের মানুষের জন্য ঠিক নয়। যাঁরা তোমায় সবসময় সমর্থন করে, তাঁরা তোমায় ওরকমভাবে দেখবে, সেটা অনুষ্কা (স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা) বা আমার কাছের মানুষ কারও জন্য সেটা ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: IND vs SL: হতাশা বিভ্রান্ত করে..প্রতিটা ম্যাচ শেষ ভেবে খেলতে হবে- শতরান হাঁকিয়ে দার্শনিক কোহলি
'তাই দায়িত্বটা আমি নিজেই নিয়েছিলাম। পুরো বিষয়টা ভেবে দেখেছিলাম। তারপর তাজা হয়ে যখন এশিয়া কাপে ফিরেছিলাম, আমি নেট সেশন উপভোগ করছিলাম। সেভাবেই আমি চিরকাল ক্রিকেট খেলে এসেছি। তাই এটাই বলব, কখনও যদি আপনি হতাশায় ডুবে থাকেন বা মরিয়া হয়ে ওঠেন, তাহলে আরও বেশি নিজেকে না টেনে সবসময় দু'পা পিছিয়ে আসুন। কারণ ওই বিষয়টি আপনার থেকে দূরে চলে যাবে।'
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।