পরিসংখ্যানের নিরিখে বিরাট কোহলি একেবারে অফ ফর্মে ছিলেন, এমনটা বলা যাবে না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন বিরাট। অজিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে একটি হাফ-সেঞ্চুরি ও একটি ৪০ রানের ইনিংস আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
দেশে ফেরার আগে কোহলি অ্যাডিলেড টেস্টে করেন ৭৪ রান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন ভারত অধিনায়ক। তা সত্ত্বেও বিরাট পরিচিত মেজাজে ছিলেন, এমনটাও বলা যাবে না কখনই। বিশেষ করে শেষ ৫টি আন্তর্জাতিক ইনিংসের মধ্যে তিনবার শূন্য রানে আউট হওয়ায় বিরাটের ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছিল অনুরাগীদের মধ্যে।
অবশেষে চেনা ছন্দে ধরা দিলেন বিরাট। আমদাবাদে মর্গ্যানদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ৪৯ বলে ৭৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন কোহলি। যাবতীয় দুশ্চিন্তা দূর হয় ক্রিকেটমহলের।
কোহলি নিজেও যে দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তা বোঝা যায় ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেই। ভারত অধিনায়ক নিজেই জানালেন, কীভাবে টিম ম্যানেজমেন্ট, স্ত্রী অনুষ্কা ও বন্ধু এবি ডি'ভিলিয়র্স তাঁকে ছন্দে ফিরতে সাহায্য করেছেন।
কোহলি বলেন, ‘আমাকে ক্রিকেটের প্রাথমিক দিকগুলোয় ফিরে যেতে হয়েছিল। সম্ভবত বাইরের বিষয় নিয়ে বড্ড বেশি ভাবছিলাম। দলের পারফর্ম্যান্সে অবদান রাখতে পারলে সবসময় ভালো লাগে। সুতরাং, ৭০ (৭৩) রানের মতো যোগ করতে পেরে ভালো লাগছে। বলের উপর চোখ রেখেছিলাম।’
বিরাট আরও যোগ করেন, ‘ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়। অনুষ্কা এখানেই রয়েছে। ওর ভাবনাও আমাকে জানায়। ম্যাচের আগে এবি ডি’ভিলিয়র্সের সঙ্গে বিশেষ আলোচনা হয়। ও আমাকে বলে যে, শুধু বলের দিকে চোখ রাখো। আমি সেটাই করি।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।