মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে ময়দানে ২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর বর্ণময় কেরিয়ারে ইতি টানেন ‘গড অফ ক্রিকেট’ সচিন তেন্ডুলকর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচের স্মৃতি এখনও সকলের মনেই তাজা। সচিনের অবসরে নিঃসন্দেহে চোখ ভিজেছিল আপামর ভারতবাসীর। তবে ওইদিন বিরাট কোহলির এক উপহার সচিনেরও চোখ জল এনে দিয়েছিল।
দীর্ঘ ২৪ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে হেন কোনো রেকর্ড নেই, যা সচিনের নিজের নামে করেননি। সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসাবে তাঁকে গণ্য করা হয়। বিরাট কোহলির সচিনপ্রীতিও কারুর অজানা নয়। কিংবদন্তি সচিনকে বরাবরই নিজের মেন্টরের আসনে বসিয়েছেন বিরাট। এমনকী ২০১৪ সালে হতশ্রী ইংল্যান্ড সফরের পরেও নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতেও সচিনেরই দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরাট। নিজের গুরুর অবসরবেলা তাঁকে নিজের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটি উপহারস্বরূপ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক।
সম্প্রতি গ্রাহাম বেনসিঙ্গারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সচিন জানান, ‘ওই ম্যাচ শেষে আমি সাজঘরে ফেরার পর স্বাভাবিকভাবেই খুবই দুঃখিত ছিলাম। দেশের হয়ে আর কোনোদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে মাঠে নামব না, এই ভাবনাটাই আমায় আরও বেশি কষ্ট দিচ্ছিল। মাথায় টাওয়াল চাপে দিয়ে এক কোণায় বসেছিলাম আমি। সেই সময়ই বিরাট আমার কাছে এসে ওর বাবার দেওয়া একটি পবিত্র সুতো আমায় দেয়। এই পুরো বিষয়টাই আমার কাছে ভীষণ ইমোশনাল ছিল।’
এই বিষয়ে বিরাট জানান, ‘যখন সচিন অবসর নিয়েছিলেন, তখন আমরা স্বাভাবিকভাবেই ওর শূন্যতা কীভাবে ভরাট করব, সেই কথা ভেবে ভয় পেয়েছিলাম। আমার বাবা আমায় এক পবিত্র সুতো দিয়েছিলেন। সেটা সবসময় আমার ব্যাগেই থাকত। আমার কাছে আমার বাবার দেওয়া এই উপহারটাই সবচেয়ে মূল্যবান ছিল। ওঁকে দেওয়ার জন্য এর থেকে দামি আর কিছুই ছিল না। এই উপহার দিয়ে আমি ওঁকে বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, ওঁ আমায় কতটা অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমার কাছে ওঁর গুরুত্ব ঠিক কতটা।’ সচিন অবশ্য কিছুদিন সেই উপহার নিজের কাছে রাখার পর, বিরাটের বাবার দেওয়া উপহারটি তাঁকে ফেরত দিয়ে দেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।