বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই বিলেতে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। ইংল্যান্ডের শেষ তিন সফরে ভারত একদমই ভাল পারফর্ম করতে পারেনি। তবে এইবার শক্তিশালী দলে ভর করে নিজেদের ভাগ্য বদলে আশাবাদী 'টিম ইন্ডিয়া'।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আসল লড়াইয়ের পাশাপাশি যে দ্বৈরথের দিকে তাকিয়ে দর্শকরা তা হল বিরাট কোহলি বনাম জেমস অ্যান্ডারসন। ২০১৪ সালে অ্যান্ডারসনের সুইংয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয় বিরাটকে। যদিও শেষ ইংল্যান্ড সফরে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসে নিজের জাত চেনান কোহলি। তবে প্রাক্তন ভারতীয় ফাস্ট বোলার ইরফান পাঠান মনে করছেন ইংল্যান্ডের 'সুইংয়ের জাদুকর' বরাবরই 'কিং কোহলি'কে সমস্যায় ফেলতে সক্ষম।
পাঠান দাবি করেন, ‘বিরাট কোহলিকে জিজ্ঞেস করা হলে ও বরাবর বলবে মিচেল জনসনের জোরে বল খেলতে ওর কোন সমস্যা নেই। ও জানে ও জনসনের বিরুদ্ধে বলের লাইনে পৌঁছতে পারবে, কিন্তু অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে বরাবরই ও সমস্যায় পড়বে। বল সুইং হলে পৃথিবীর কোন ব্যাটসম্যানই খুব একটা স্বস্তিতে থাকে না। সেই অনিশ্চয়তার ছোট জায়গাটা বরাবর তাঁদের সমস্যায় ফেলে।’
ফাস্ট বোলারের অতিরিক্ত গতি বরাবরই তাঁকে বাড়তি সুবিধা প্রদান করে ও ব্যাটসম্যানকে চাপে ফেলতে বলে সাহায্য করে বলেই মনে করা হয়। তবে বর্তমানে ব্যাটসম্যানরা আর গতির বিরুদ্ধে ভয় পায়না। ঋষভ পন্তের উদাহরণ দিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় ফাস্ট বোলার বলেন, ‘আমরা ঋষভ পন্ত, জোস বাটলারদের বর্তমানে জোফ্রা আর্চার, প্যাট কামিন্সের মতো বোলারদের রিভার্স সুইপ মারতে দেখেছি। বর্তমানে সরঞ্জাম এতো উন্নত হয়ে গেছে যে ব্যাটসম্যানদের আর শুধুমাত্র গতি দিয়ে ভয় দেখানো যায় না। টিকে থাকতে হলে বল হাতে দক্ষতার প্রয়োজন এবং আমার মতে বল সুইং করানো এক বিশাল বড় দক্ষতার পরিচয়।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।