২০১৭ সালে, ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদ থেকে অনিল কুম্বলের পদত্যাগ নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছিল। টিম ইন্ডিয়ার তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছিলেন। পরে অনিল কুম্বলের জায়গায় কোচ হন রবি শাস্ত্রী। এখন এই বিষয়ে ভারতীয় দলের প্রাক্তন ম্যানেজার রত্নাকর শেঠি তাঁর বইয়ে একটি নতুন কথা বলেছেন। ‘অন বোর্ড: মাই ইয়ার্স ইন বিসিসিআই’ শিরোনামের একটি বইয়ে শেট্টি লিখেছেন, বিরাট কোহলি মনে করেছিলেন যে অনিল কুম্বলে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়াননি। তার সময়ে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ছিল উত্তেজনাপূর্ণ।
বইটিতে অনিল কুম্বলের কোচের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন রত্নাকর শেঠি। তিনি জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিরাট কোহলি ও অনিল কুম্বলের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। রত্নাকর শেঠি লিখেছেন, ‘২০১৭ সালের জুনে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পর অনিল কুম্বলের পদত্যাগ পর্যন্ত যা ঘটেছিল তা ক্রিকেট বৃত্তে প্রবেশ করা অস্পষ্টতা দেখায়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে আইপিএল ম্যাচের একদিন আগে, আমি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং সচিন তেন্ডুলকরের সাথে দেখা করি। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম যখন বীরু বলেছিলেন যে ডক্টর শ্রীধর তাকে ভারতীয় দলের কোচ পদের জন্য আবেদন করতে বলেছিলেন।’
শেঠি আরও লিখেছেন ‘কয়েকদিন পর আইপিএল ফাইনালের জন্য হায়দরাবাদ গিয়েছিলাম। ম্যাচের আগে ক্রিকেট প্রশাসক কমিটির বৈঠক হয়। অনিল এবং বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার পথ নিয়ে বৈঠকে একটি উপস্থাপনা দেওয়ার কথা ছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন বিনোদ রাই এবং ডায়ানা এডুলজি (ক্রিকেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস কমিটির সদস্য)। অনিলও সেখানে ছিলেন এবং বিরাট অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।’
শেঠি নিজের বইয়ে আরও লেখেন, ‘রাই তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে ২০১৬ সালে দলের কোচ নিয়োগের জন্য কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল। এরপর যা ঘটল তা বিস্ময়কর। রাই সকলের সামনে বলেছিলেন যে সেই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি হবে। আমি আর অনিল অবাক হয়ে গেলাম। আমি মে মাসে বীরুর সাথে আমার কথোপকথনের কথা মনে পড়ল এবং অনিলকে বলেছিলাম। এটা নিশ্চিত যে ডক্টর শ্রীধর তার মন থেকে বীরুর থেকে কোচের পদের জন্য আবেদন করতে বলেননি।’
বিসিসিআই বৈঠকে কী হয়েছিল সে বিষয়ে বলতে গিয়ে শেঠি লিখেছেন, ‘এটা স্পষ্ট যে কিছু লোক অনিলকে কোচ হিসাবে চাননি। অধিনায়ক ও কোচের কোনও মতামত ছিল না এবং মনে হচ্ছিল অধিনায়কের ওপরই সবটা ছিল। পরে জানতে পারি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের আগে লন্ডনে মিটিং হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিরাট, অনিল, (রাহুল) জোহরি, অমিতাভ চৌধুরী এবং ডক্টর শ্রীধর। অনিলকে নিয়ে খুশি ছিলেন না বিরাট। কোহলিরর অভিযোগ ছিল যে অনিল খেলোয়াড়দের পক্ষপাতী নয় এবং ড্রেসিংরুমে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করেছেন। এর বাইরেও অনেক কিছু ছিল।’ অনিল কুম্বলে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর টিম ইন্ডিয়ার কোচ হলেন রবি শাস্ত্রী। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।