বাংলা নিউজ > ময়দান > ২০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি, ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন সেহওয়াগ

২০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি, ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন সেহওয়াগ

ভারতকে জয় এনে দিলেন সচিন-সেহওয়াগ জুটি। ছবি- টুইটার।

সচিন-সেহওয়াগের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে বাংলাদেশ লেজেন্ডসকে বিধ্বস্ত করে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস।

জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০ ওভারে ১১০ রান। টার্গেট এমন কিছু বড় না হলেও সচিন-সেহওয়াগ জুটিকে থামানো যে মুশকিল, সেটা হাড়ে হাড়ে টেল পেল বাংলাদেশ লেজেন্ডস দল। দুই কিংবদন্তি ওপেনার অবিচ্ছদ্য থেকে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস দলকে জয় এনে দেন মাত্র ১০.১ ওভারে।

সচিন তেন্ডুলকর তুলনায় কম আগ্রাসী ছিলেন। তবে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ধরা দেন পরিচিত ধ্বংসাত্মক মেজাজে। মহম্মদ রফিকের প্রথম ওভারেই ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৯ রান তোলেন বীরু। ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শেষেমেশ ব্যক্তিগত ৮০ রানে অপরাজিত থাকে তিনি। ৩৫ বলের ইনিংসে তিনি মোট ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন সেহওয়াগ। তেন্ডুলকর নট-আউট থাকেন ২৬ বলে ৩৩ রান করে। তিনি ৫ বাউন্ডারি মারেন।

রায়পুরের শহিদ বীর নারায়ন সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ লেজেন্ডস। তারা শুরুটা মন্দ না করলেও পরপর উইকেট হারিয়ে অল্প রানে গুটিয়ে যায়। ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ ৮ ওভারে ৫৯ রান তোলে। যুবরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে নাজিমুদ্দিন ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন।

বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশ লেজেন্ডস ১৯.৪ ওভারে ১০৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। প্রজ্ঞান ওঝা, যুবরাজ সিং ও বিনয় কুমার ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন গনি ও ইউসুফ পাঠান। যুবরাজ ও গনি একটি করে রান-আউট করেন।

পালটা ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস দল বিনা উইকেটে ১১৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। সচিনরা বাংলাদেশ লেজেন্ডসকে ১০ উইকেটে পরাজিত করেন।

বন্ধ করুন