১৪ বছর ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং লাইনের এক সময়কার স্তম্ভ ছিলেন তিনি। জীবনের শুরুতে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান থেকে ওপেনার হয়ে ওঠেন তিনি। একটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় মাস্টার ব্লাস্টারের সঙ্গে তিনিই ওপেন করতে নামতেন। তিনি বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। তাঁর খেলায় মুগ্ধ ছিলেন সকলেই। তরুণ প্রজন্ম আজও তাঁর খেলা দেখে শেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু বীরু কী ভাবে নিজের খেলাকে সঠিক করেছেন। সেই রহস্য থেকে এবার তিনিই পর্দা তুললেন।
সচিন তেন্ডুলকরের থেকে স্ট্রেট ড্রাইভ এবং ব্যাক ফুট পাঞ্চ মারতে শিখেছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। তবে সামনে থেকে নয়, টিভিতে ভার্চুয়ালি। সচিনের খেলা দেখে শিখেছিলেন সেই সব শট। এমনই জানালেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার।
সেহওয়াগ বলেন, ‘আমি টেলিভিশনে ক্রিকেট খেলা দেখা শুরু করি ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ থেকে। সেই সময় সচিনের খেলা দেখে স্ট্রেট ড্রাইভ মারতে শিখি।’ সহবাগ মনে করেন এখনকার প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে প্রযুক্তির ব্যবহার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট শেখার জন্য বিভিন্ন ভিডিয়ো দেখা যায় নেটমাধ্যমে। ছোটরা সেখান থেকে শিখতে পারে। আমার সময় এই সুবিধা থাকলে হয়তো আরও অনেক ছোট বয়সে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়ে যেতাম।’
সেহওয়াগ পায়ের স্টেপিং নিয়ে বার বার সমালোচকরা তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করতেন। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বলেন, ‘সকলে বলত আমার পায়ের মুভমেন্ট ঠিক করতে হবে। কিন্তু কেউ বলত না কী ভাবে করব। মনসুর আলি খান পটৌডি, সুনীল গাওস্কর এবং কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত বলেছিল লেগ স্টাম্পের বদলে মিডল অফে দাঁড়াতে। তাতেই বদলে গিয়েছিল আমার খেলা।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।