ওয়াংখেড়েতে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মোতেরায় ম্যাচের শেষ বলে যেভাবে হেলিকপ্টার শটে ছক্কা মেরে বরোদাকে ম্যাচ জেতালেন বিষ্ণু সোলাঙ্কি, তাতে চমকে যেতে পারেন ধোনিও।
হরিয়ানার বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ের জন্য শেষ ওভারে বরোদার দরকার ছিল ১৮ রান। প্রথম বলে ১ রান নেন অভিমন্যুসিং রাজপুত। দ্বিতীয় বলে ফলো থ্রু'য়ে বিষ্ণু সোলাঙ্কির ক্যাচ মিস করেন বোলার সুমিত কুমার। ১ রান ওঠে সেই বলে। তৃতীয় বলে রাজপুত পুনরায় সিঙ্গল নেন। সুতরাং, প্রথম তিন বলে মাত্র ৩ রান ওঠে। জয়ের জন্য বরোদার দরকার ছিল শেষ ৩ বলে ১৫ রান।
চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান সোলাঙ্কি। পঞ্চম বলে চার মারেন। অথাৎ, শেষ বলে ৪ মারলে ম্যাচ টাই হতো। ৫ রান নিলে জয় আসত। জিততে হলে শেষ বলে ছক্কা মারা ছাড়া উপায় ছিল না বিষ্ণুর সামনে। নিখুঁত হেলিকপ্টার শটে বল গ্যারালিতে ফেলে বরোদাকে শেষমেশ সেমিফাইনালের টিকিট এনে দেন সোলাঙ্কি। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৬ বলে ৭১ রান করে। মারেন ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা।
শেষ ওভারের রোমাঞ্চকর ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: https://www.bcci.tv/videos/148514/haryana-baroda-s-thrilling-final-over
প্রথমে ব্যাট করে হরিয়ানা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৮ রান তোলে। হিমাংশু রানা ৪৯, শিবম চৌহান ৩৫, চৈতন্য বিষ্ণোই ২১, সুমিত কুমার অপরাজিত ২০ ও রাহুল তেওয়াটিয়া ১০ রান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বরোদা ২০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৫০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। সোলাঙ্কির হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া কেদার দেবধর ৪৩ রান করেন। যুজবেন্দ্র চাহাল ৪ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ১৫ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট দখল করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।