২৫৩ রান তাড়া করে জয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেন এমন নজির গড়া জলভাত হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভাইটালিটি ব্লাস্টে সারে বিরুদ্ধে আড়াইশোর উপর রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে মিডলসেক্স। সেই সঙ্গে তারা গড়ে ফেলেছে নজির।
সারের দেওয়া ২৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে সহজ জয় ছিনিয়ে নেয় মিডলসেক্স। এটি টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নজির। এই বছরের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড জয় থেকে ছয় রান কম।
এদিন টস জিতে সারেকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মিডলসেক্স। শুরু থেকেই সারের দুই ওপেনার ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। প্রথম উইকেটে সারের দুই ওপেনার উইল জ্যাকস এবং লরি ইভান্স মিলে ১২.৪ ওভারে ১৭৭ রানের লম্বা পার্টনারশিপ করেন। যার হাত ধরেই ৭ উইকেটে ২৫২ রানের পাহাড় গড়েছিলেন সারে।
আরও পড়ুন: এক ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা, RCB প্লেয়ার মনে করালেন KKR-এর রিঙ্কুকে- ভিডিয়ো
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অলরাউন্ডার ৪৬ বলে বলে ৭টি ছক্কা এবং ৮টি চারের হাত ধরে ৯৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তবে মাত্র চার রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। উইল জ্যাকস তাদের ইনিংসের ১১তম ওভারে মিডলসেক্সের লেগ-স্পিনার লুক হলম্যানকে পরপর পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। এবং খুব অল্পের জন্য ভারতের যুবরাজ সিং-এর ছয় ছক্কার নজির মিস করে গিয়েছেন তিনি। যুবি ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ড ব্রডের এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মেরেছিলেন। তবে জ্যাক এই ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিং-এর পাঁচ ছক্কার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন। এ দিকে লরি ইভান্স পাঁচটি ছক্কা এবং ন'টি চারের হাত ধরে ৩৭ বলে ৮৫ রান করেন।
২০২৩ আইপিএলে রিঙ্কু সিং গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচের শেষ ওভারে যশ ঠাকুরকে পাঁচটি ছক্কা মেরে কেকেআরকে অসম্ভাব্য জয় এনে দিয়েছিলেন। তবে জ্যাকের বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের পরেও সারে শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। ৪ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় মিডলসেক্স। আসলে সারের বাকি ব্যাটাররা সে ভাবে পারফরম্যান্স করতে পারেননি। বাকিদের মধ্যে কেউই ২০ রানের গণ্ডিই টপকাননি। না হলে আরও অনেক বেশি রান হতে পারত।
আরও পড়ুন: মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেন পেরি, অভিষেকেই অজিদের অস্বস্তিতে ফেলেছেন ফিলার
মিডলসেক্স মাত্র ৪ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে সারের রানের পাহাড় টপকে যায়। অধিনায়ক স্টিফেন এস্কিনাজি ওপেন করতে নেমে ৩৯ বলে একটি ছক্কা এবং ১৩টি চারের সাহায্যে ৭৩ রান করেন। এবং ম্যাক্স হোল্ডেন ৩৫ বলে ২টি ছক্কা এবং ৯টি চারের সাহায্যে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়াও আর এক ওপেনার জো ক্র্যাকনেল ১৬ বলে ৩৬ করে রানআউট হন। রায়ান হিগিন্স ২৪ বলে ৪৮ রান করেন। জ্যাক ডেভিস ৩ বলে ১১ করেন। ১৯.২ ওভারে ৩ উইকেটে ২৫৪ রান করে ফেলে মিডলসেক্স।
এই দুরন্ত জয়ের ফলে মিডলসেক্স এই মরশুমে টানা ১০টি ম্যাচ হারের পর, ১১ নম্বর ম্যাচ অবশেষে বড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে সারে ১২ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতে জিতেছে। ৪টি ম্যাচ হেরেছে। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সাউথ গ্রুপের দুই নম্বরে রয়েছে তারা। এই গ্রুপের টেবলের শীর্ষে রয়েছে সমারসেট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।