ইস্টবেঙ্গলে কর্তা-ইনভেস্টরের লড়াইয়ে মাঝেই জ্বলে উঠল মহমেডান ক্লাবের অন্দরের রাজনীতি। ক্লাবের এক প্রাক্তন কর্তা, ক্লাবের অন্য প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে ক্লাবের টাকা তছরুপের অভিযোগ তুললেন।
অভিযোগ তুললেন ক্লাবের প্রাক্তন সচিব ওয়াসিম আক্রম। তিনি নিজের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি দেন, যেখানে তিনি বেশ কিছু ব্যাঙ্কের নথী তুলে ধরেন। এবং জানান কী ভাবে ক্লাবের অ্যাকাউন্ট থেকে এক কর্তা ১৪ লক্ষ টাকা তুলেছেন। তিনি তাঁর এভিযোগের তির ছোঁড়েন ক্লাবের প্রাক্তন কর্তা কামারউদ্দিনের দিকে।
ওয়াসিম আক্রম নিজের অ্যাকাউন্টে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে লেখেন,
‘বন্ধুগন,
শুধুমাত্র ৪ বছরের তথ্য আমি এখানে প্রকাশ করছি আর তার সাথে মাত্র দুইটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য।
কামারউদ্দিন সাহেব ক্লাবের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা চুরি করেছেন আর এই সেল্ফ চেকের বাহার (প্রায় ২ কোটি)। তখন প্রধানত তিনজনের সই চলতো
১) তৎকালীন সভাপতি সুলতান আহমেদ (এখন তিনি মৃত)
২) তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জামীল মানজার যিনি এখন ক্লাবের ২৫% মালিক এবং কার্যকরী সভাপতি।
৩)তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ আমিরউদ্দিন ববি বর্তমানে বস্তুত সভাপতি এবং ক্লাবের ২৫% মালিক।
আমিরউদ্দিন ববির সই প্রত্যেক চেকে রয়েছে এবং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কোনোটাই সুলতান আহমেদ আবার কোনোটাই জামীল মানজারের সই। কোনো অডিট জমা নেই রেজিস্ট্রার অফ সোসাইটিতে।
তাহলে ডোনেশানের টাকা গুলো গেল কোথায়?
হোটেল তৈরি আর ফুটানিতে শেষ হয়ে যায়নি তো?
*জবাব দিন*’
শুধু এই বক্তব্য তিনি লেখেননি, এর পাশাপাশি বেশ কিছু নথিও তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে কামারুদ্দিনের নামে বহুবার টাকা তোলা হয়েছে। তবে এরপরে ময়দানের এক অংশ কামারুদ্দিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের বক্তব্য ক্লাব চালাতে গেলে সেল্ফ চেকে টাকা তুলতে হয়। তা দিয়েই ক্লাবের দৈনন্দিন খরচ চালাতে হয়। হয়তো তাই করা হয়েছে, এতে প্রমাণ হয়না কামারুদ্দিন ক্লাবের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মহমেডান ক্লাবের বিতর্কে এবার নতুন দিক খুলেছে। এর আগেও এই দুই কর্তার লড়াই ময়দান দেখেছে। এখন এই অভিযোগ কতটা যুক্তি যুক্ত তা সময়ই বলবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।