লর্ডসের সবুজ পিচে হাঁকিয়েছিলেন শতরান। দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা যখন দাঁড়াতে পারেননি, তখন লড়েছিলেন নবাগত অজিঙ্কা রাহানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে স্বীকৃত দিয়েছিল সেই ইনিংস। কিন্তু গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্ন টেস্টে তাঁর শতরানের গুরুত্ব যে কতটা, তা যতদিন যাচ্ছে, ততই টের পাচ্ছে ক্রিকেট মহল। সম্ভবত রাহানেও সেই বিষয়টি অনুভব করতে পারছেন।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ভারতীয় দলের সদস্যরা, প্রত্যেকের মতে, সিরিজে প্রচুর রান হয়ত করেননি রাহানে। কিন্তু অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে শেষ হওয়া একটা দলের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল, তা মিটিয়ে দিয়েছিল বক্সিং ডে টেস্টে প্রথম ইনিংসে রাহানের সেই শতরান। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া দলের মধ্যে যে লড়াইয়ের বার্তা বয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেই শতরান, তাতে যেন বাড়তি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। যাঁরা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইতিহাস রচনা করেছেন।
মেলবোর্নে ২২৩ বলে ১১২ রানের সেই দুর্দান্ত ইনিংসের আগে আবার একাধিকবার সচিন তেন্ডুলকরের ব্যাটিং দেখেছিলেন রাহানে। স্পোর্টস টু'ডে এমনই রহস্য ফাঁস করেছেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। তিনি বলেন, 'আমি সচিনের ইনিংস দেখেছিলাম। এমসিজিতে সচিনের শতরানের ইনিংস দেখেছিলাম। তখন সচিন অধিনায়ক ছিলেন। আমার মনে আছে, ওই ম্যাচে ১১৬ রান করেছিলেন সচিন। ম্যাচের আগেরদিন ১০ বার এবং ম্যাচের সকালে ছ'সাতবার দেখেছি।'
১৯৯৯-০০ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমে বল করেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে ৪০৫ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে মাত্র ২৩৮ রানেই অল-আউট হয়ে যায় ভারত। তার মধ্যে অধিনায়ক সচিনই করেছিলেন ১১৬ রান (১৯১ বল)। তাঁর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল অনিল কুম্বলের (২৮ রান)। সেই ম্যাচে অবশ্য ১৮০ রানে হারতে হয়েছিল ভারতকে। তা সত্ত্বেও সচিনের ১১৬ রানের ইনিংস এখনও অমর হয়ে আছে। এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অমর শতরানের জায়গা করে নিয়েছে রাহানের ১১২ রানের ইনিংসও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।