ভারত সফরের মাঝ পথেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তাঁর মায়ের অসুস্থতার জন্য সিডনিতে ফিরে গিয়েছেন। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট খেলার পরই দেশে ফিরে যান। যে জন্যই তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। কামিন্সের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্ব দেন স্টিভ স্মিথ।
একটা সময় বল বিকৃতির সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয় তাঁকে। স্মিথের নেতৃত্বে তৃতীয় টেস্টে অসাধারণ জয় পেয়েছে অজি বাহিনী। সিরিজে পিছিয়ে থাকলেও ইন্দোরে জেতার পর হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে অজিরা। তাই আমদাবাদ টেস্টেও ভারতকে চিন্তায় রাখছে অজিদের গত ম্যাচের পারফরম্যান্স। গত ম্যাচে নেতৃত্ব দেন স্মিথ। এই টেস্টেও নেতৃত্ব দেবেন তিনিই। এমনটাই জানা গিয়েছে। কারণ, প্যাট কামিন্স শেষ টেস্ট ম্যাচের আগে ভারতে ফিরতে পারবেন না বলেই জানা যাচ্ছে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট।
কামিন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ক্রিকেটাররা। ইন্দোরে জয়লাভের পরেই তারা যোগাযোগ করেন। অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাক ডোনাল্ড বলেন, ‘ব্যক্তিগত সমস্যায় জর্জরিত কামিন্স। তবে তার মধ্যেও সে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। ও দলের খোঁজ খবর নিয়েছে। তৃতীয় টেস্ট শেষ হওয়ারর পরই দলের ছেলেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার কোচ আরও বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কামিন্সের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ শুরু হতে এখনও অনেক দিন সময় আছে। আমরা ওর সঙ্গে আলোচনায় বসব, তারপর দেখা যাক কি হয়।’
আমদাবাদে হবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির শেষ টেস্ট। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বসবে এই ম্যাচের আসর। এই টেস্ট জিততে পারলে ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেবে। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ইন্দোরে টেস্ট জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট পেয়ে গিয়েছে। স্মিথ জানিয়েছেন, হয়ত তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার দিন শেষ হয়ে এসেছে। তিনি বলেন, ‘এই দলটা এখন প্যাট কামিন্সের। ও নেই বলে আমি নেতৃত্ব দিচ্ছি।’
গত ম্যাচে দুর্দান্ত ভাবে কামব্যাক করেছে অজিরা। দলের এই লড়াকু মানসিকতা দেখে খুশি কোচ ম্যাক ডোনাল্ড। তিনি জানিয়েছেন, ‘দিল্লি টেস্টের সময় এক ঘন্টা খারাপ খেলেছি, তাই হারতে হয়েছে। ইন্দোরেও এমন একটা সময় গিয়েছে। যেখানে আমরা ১১ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়েছিলাম। সেই সময় ম্যাচটা ভারতের হাতে চলে যায় প্রায়। কিন্তু আমাদের দলের ছেলেরা ভালো খেলার ফলে আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াই। আমাদের পরের ম্যাচেও এই জয়ের ধারা বজায় রাখতে চাই।'