ভারত বিরোধী কথাবার্তা বলে হাওয়া গরম করায় শাহিদ আফ্রিদির জুড়ি মেলা ভার। শুধু ভারতীয় ক্রিকেট নিয়েই নয়, সাম্প্রতিক অতীতে ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়েও কটুক্তি করেছেন প্রাক্তন পাক অল-রাউন্ডার।
ভারত বিরোধী অবস্থানের জন্যই আফ্রিদিকে পালটাও শুনতে হয়েছে বিস্তর। গম্ভীর, হরভজন, যুবরাজ, রায়নার মতো ভারতীয় তারকারা তো বটেই, দানিশ কানেরিয়ার মতো তাঁর নিজের দেশের সতীর্থরাও প্রাক্তন অধিনায়কের এমন দুর্ব্যহারের জন্য সমালোচনা করেছেন তাঁর।
মাঝে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সময় কটুক্তির ফুলঝুরি ফোটানো বন্ধ ছিল আফ্রিদির। তবে সুস্থ হয়েই আবার তিনি স্বমহিমায়। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আফ্রিদি দাবি করেন, ভারতকে তাঁরা এতবার হারিয়েছেন যে, ম্যাচের শেষে ক্ষমা চাইতেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
এক ইউটিউব শো-য়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি বরাবর ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে পছন্দ করি। ওদের তো ঠিকঠাক মেরেছি আমরা। এত হারিয়েছি যে, ম্যাচের শেষ ক্ষমা চাইত ওরা।’
আফ্রিদি আরও বলেন, ‘ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলা সবসময় উপভোগ করেছি। ওরা বড় দল, ভালো দল। তাই প্রচুর চাপ থাকে। ওদের পরিবেশে গিয়ে পারফর্ম করা সবসময় চ্যালেঞ্জের।’
ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতের বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তান এগিয়ে ৭৩-৫৫ ব্যবধানে। যদিও পাকিস্তানের দাপট বেশি ছিল শুরুর দিকে। সময় যত গড়িয়েছে, ভারত দ্বি-পাক্ষিক লড়াইয়ে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছে। ৮০-র দশকে ৩০টি ম্যাচের মধ্যে পাকিস্তান জেতে ১৯টি ম্যাচে। ভারত জয় তুলে নেয় ৯টি ম্যাচে। ৯০-এর দশকে ৪৮টির মধ্যে পাকিস্তান ২৮-১৮ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে।
ছবিটা পালটাতে শুরু করে নতুন শতকে। বিশেষ করে শেষ ১০ বছরে ভারত পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে দেয় ১০-৪ ব্যবধানে। তাছাড়া আইসিসি বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে পাকিস্তান কখনও হারাতে পারেনি ভারতকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।