কলকাতা ময়দানে এখন দুই চিত্র। একদিকে যখন আইএসএল জিতে পাল তোলা নৌকা এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। অন্যদিকে টানা ব্যর্থতায় অন্ধকার লাল হলুদ তাঁবু। কবে আইএসএল আসবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে? সেই উত্তর অজনা। সমর্থকরাও অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। কবে ট্রফি আসবে নিজেদের ক্লাব তাঁবুতে। এবার সমর্থদের প্রতিশ্রুতি দিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার।
বুধবার কলকাতার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ইস্টবেঙ্গলের একটি অনুষ্ঠানে লাল হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, 'আমরা শপথ নিচ্ছি দুই বছরের মধ্যে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হবে ইস্টবেঙ্গল।' নীতু সরকারের এমন বক্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন লাল হলুদ সমর্থকরা। আবার অনেক সমর্থকই বিদ্রুপ করেছেন।
কারণ প্রতি বছর মরশুম শুরুর আগে ইনভেস্টরদের সঙ্গে সমস্যায় জড়িয়ে ভুগতে হয় লাল হলুদকে। ফলে নতুন ইনভেস্টরের সঙ্গে কাজ শুরু করতে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে দল গঠনে। গত কয়েক বছর ধরেই একই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে কলকাতার এই প্রধানকে।
তবে গত মরশুমে সবাইকে চমকে দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের কোচ করে নিয়ে আসা হয়, ভারতীয় দলের প্রাক্তন হেডস্যার স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনকে। কিন্তু তাতেও ইস্টবেঙ্গলের সার্বিক চিত্রটা বদলায়নি। বরং মরশুমের শুরুতেই দলের দায়িত্ব নিয়ে সমর্থকদের জানান, এক বছরের মধ্যে অন্য ইস্টবেঙ্গলকে দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু তারপরও ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে লাল হলুদকে। একের পর এক ম্যাচ হারলেও কোচ স্টিফেন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মাঠে ফলাফল দেখা যায়নি। সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয় সুনীল ছেত্রীদের প্রাক্তন হেড স্যারকে।
একটা সময় সমর্থকরা প্রতিবাদ জানাতে খেলা দেখতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। খালি স্টেডিয়ামে খেলা হয় ইস্টবেঙ্গলের। পরিস্থিতি যে বেশ গরম তা ভালো ভাবে টের পান স্টিফেন। সেই সঙ্গে, তাঁর চাকরি যে টিকবে না সেও বুঝে গিয়েছিলেন তিনি। ফলে মরশুম শেষ হতেই লাল হলুদ কর্তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, স্টিফেনে আর ভরসা রাখছে না লাল হলুদ। এখন এটাই দেখার নতুন মরশুমে কতটা সাফল্য পায় ইস্টবেঙ্গল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।