মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সুরেশ রায়না একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। জাতীয় দলের পর চেন্নাই সুপার কিংসের খেলার সময় তাদের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হয়। কিন্তু তারা তাদের ক্রিকেট জীবন শুরু করেন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে। রায়না উত্তরপ্রদেশে ক্রিকেটার। ধোনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। এই দুই প্রাণের বন্ধু নিজেদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলেন ইস্ট জোন বনাম সেন্ট্রাল জোনের হয়ে। সেই খেলার সময় রায়না ধোনির আক্রমনাত্মক খেলার আভাস পান। সম্প্রতি জিও সিনেমায় অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠান 'মাই টাইম উইথ ধোনি প্রোগ্রামে' সুরেশ রায়না ধোনির সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলির স্মৃতি রোমন্থন করেন।
২০০৪ এবং ২০০৫ সালে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোন দুবার একে অপরের মুখোমুখি হয়। প্রথমটি ছিল দেওধর ট্রফির একটি গ্রুপ খেলা যেখানে ধোনি ব্যাটিং শুরু করেছিলেন এবং সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে সেই ম্যাচে রায়না বা মহম্মদ কাইফ কেউই ছিলেন না। খুব সম্ভবত তিনি ২০০৫ সালে দিলীপ ট্রফি ম্যাচের কথা বলছিলেন। সেন্ট্রাল জোনের নেতৃত্বে ছিলেন কাইফ এবং ধোনি ইস্ট জোনের হয়ে খেলেছিলেন। মজার ব্যাপার হল, সেই ম্যাচের আগে ধোনি বাংলাদেশে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও ব্যাট হাতে তেমন কিছু করেননি। তাঁর জন্য সেই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
রায়না ধোনির সম্পর্কে জানান, ইস্ট জোনের হয়ে ধোনির ছয় মারার ক্ষমতা দেখে অনেক আলোচনা হয়েছে। ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় ধোনি পাকিস্তান এবং কেনিয়ার বোলারদের বলকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে সবার নজরে আসেন। আর এই খেলার পরই ভারতীয় দলে ধোনির জায়গা তৈরি হয়ে যায়।
রায়না স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, 'আমরা ঝাড়খণ্ডের লম্বা চুলের একজন ক্রিকেটার সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছিলাম। যে ক্রমাগত মাঠের বাইরে বল পাঠিয়ে বেশ পরিচিতি তৈরি করছিল। ওই একই দিন আমরা সবাই ঘোরাঘুরি করছিলাম তখন মাহি ভাই এক কোণে বসে রুটি এবং বাটার চিকেন খাচ্ছিল। তখন জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে ওকে দেখে বলে আমার মনে হয় না ও আমাদের বিশেষ কিছু ক্ষতি করবে। ওকে ওর খাবার উপভোগ করতে দাও। পরের দিন ধোনি যখন ব্যাটিং করতে নামে, মহম্মদ কাইফ তাঁর বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজায়। কিন্তু সেন্ট্রাল জোনের বোলারদের বিশেষ কিছু করার ছিল না। ধোনি বিশাল ছক্কা মারতে থাকে।'
বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক তাঁর ক্রিকেট জীবনে অনেক ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। কিন্তু সুরেশ রায়নার কাছে যে ওভার বাউন্ডাটি প্রথমে মনে রয়েছে, তা হল ২০১০ সালে আইপিএলে ধরমশালায় কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মারা একটি ওভার বাউন্ডারি। রায়না বলেন, 'মাহি ভাই লং অফের উপর দিয়ে একটি বড় শর্ট মারে। তারপরই হাত দিয়ে হেলমেটে ঘুশি মারে। কোনও ম্যাচে তাঁকে এই রকম করতে দেখিনি। সবাই তাঁকে ক্যাপ্টেন কুল হিসাবেই জানে। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি এমন দিকে গিয়েছিল, যে মাহি ভাই এমন করে।' সেই ম্য়াচে সিএসকে বড় রান তাড়া করে প্লেঅফে জায়গা করে নেয়। এবং মরশুমে আইপিএল খেতাবও জেতে।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির যে গাড়ির প্রতি দুর্বলতা রয়েছে ভক্তরা তা জানেন। সেই বিষয়ে রায়না বলেন, 'সকলেই জানি মাহি ভাইয়ের কতগুলি বাইক আছে। কীভাবে ও সেইগুলিকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে সত্যিটা অসাধারণ।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।