কিংস্টোনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে পরাজিত হওয়া মাত্রই লজ্জাজনক বৃত্তটা পূর্ণ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাঠে এই প্রথমবার তারা আইরিশদের কাছে হার স্বীকার করে। ফলে আইসিসির পূর্ণ সদস্য সব দেশের কাছে নিজেদের ডেরায় ওয়ান ডে ক্রিকেটে পরাজিত হওয়ার হতাশাজনক নজির গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বর্তমানে আইসিসির টেস্ট খেলিয়ে পূর্ণ সদস্য দেশের সংখ্যা ১২টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের দেশে অন্তত একটি করে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে পরাজিত হয় বাকি ১১টি দেশের কাছেই। দেখে নেওয়া যাক ক্যারিবিয়ানরা কোন বছরে প্রথমবার নিজেদের দূর্গে ওয়ান ডে ম্যাচ হারে কোন কোন দেশের কাছে।
১. ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথমবার ওয়ান ডে ম্যাচ হারে ১৯৭৮ সালে।
২. ভারতের কাছে ১৯৮৩ সালে প্রথমবার নিজেদের দেশে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে পরাজিত হয় ক্যারিবিয়ানরা।
৩. ইংল্যান্ড ১৯৮৬ সালে প্রথমবার ক্যারিবিয়ান সফরে ওয়ান ডে ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
৪. পাকিস্তানের কাছে ১৯৯৩ সালে প্রথমবার ঘরের মাঠে ওয়ান ডে ম্যাচে পরাজিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৫. ১৯৯৬ সালে নিউজিল্যান্ড প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের দেশে পরাজিত করে।
৬. শ্রীলঙ্কাও ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে হারিয়ে দেয়।
৭. দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০১ সালে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে জয়ের মুখ দেখে।
৮. ২০০৯ সালে বাংলাদেশ প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে ওয়ান ডে ম্যাচ জেতে।
৯. জিম্বাবোয়ে ২০১০ সালে প্রথমবার ওয়ান ডে ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাদের ডেরায়।
১০. আফগানিস্তান ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবার হারিয়ে দেয় তাদের দেশে গিয়ে।
১১. ২০২২ সালে আয়ারল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবার ওয়ান ডে ক্রিকেটে পরাজিত করে তাদের মাঠে খেলতে নেমে।
উল্লেখ্য, জামাইকায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে আয়ারল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৮ ওভারে ২২৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। শেফার্ড ৫০, ব্রুকস ৪৩ ও ওডিন স্মিথ ৪৬ রান করেন। পোলার্ড ১, পুরান ১, শাই হোপ ১৭, রোস্টন চেস ১৩ ও জেসন হোল্ডার ৩ রান করে আউট হন। ৪টি উইকেট নেন ম্যাকব্রায়ান। ৩টি উইকেট নিয়েছেন ক্রেগ ইয়ং।
বৃষ্টি বাধ সাধায় জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা কমে দাঁড়ায় ৩৬ ওভারে ১৬৮ রানের। আইরিশরা ৩২.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। হ্যারি টেকটর ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৫ রান করেন ম্যাকব্রায়ান। পটারফিল্ড ২৬ ও পল স্টার্লিং ২১ রান করেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ম্যাকব্রায়ান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।