যুবি ঝুলিয়েছিল অনেক টাকা পেয়ে! ইশানকে সতর্ক করলেন কপিল দেব

কপিল দেব বলেন, ‘আমরা যুবরাজকেও মোটা টাকার চাপে থাকতে দেখেছি। এমন কি তিনিও তা অনুভব করেছিলেন। দীনেশ কার্তিক, পাঠান ভাইদের ক্ষেত্রেও একই রকম হয়েছে। তারা সবাই প্রচুর অর্থ পেয়েছিলেন। তাই কখনও কখনও প্রচুর অর্থ পাওয়া খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের উপর চাপ দেয়।’

যুবরাজ সিং, কপিল দেব ও ইশান কিষাণ (ছবি-গেটি ইমেজ)

ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার কপিল দেব মনে করেন ইশান কিষাণ ফেব্রুয়ারিতে ২০২২ আইপিএল-এর মেগা নিলামের সময় যে মোটা দামের ট্যাগ পেয়েছিলেন তার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। ইশানকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৫.২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে তাকে নিজেদের দলে নিয়েছিল এবং তরুণ বাঁ-হাতি ওপেনার এই মরশুমে ৩২.১৫ গড়ে ৪১৮ রান করেছিলেন। তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। অনেকেই মনে করেছিলেন যে ইশান কিষাণ গত মরশুমের তুলনায় ১৫তম আইপিএল-এ খারাপ পারফর্ম করেছেন।

বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইশানের উপর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এত বড় অর্থ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ শেন ওয়াটসন বলেছিলেন যে ইশান কিষাণ এই পরিমাণ অর্থের যোগ্য নন। এদিকে, কপিল মনে করেন যে কোথাও, তরুণ একটি বড় দামের তাপ অনুভব করছেন, যা তার পারফরমেন্সে দেখা যেতে পারে।

IPL আয়োজনে বড় সমস্যা তৈরি করবে পাকিস্তান! ফাঁস হল PCB-র পরিকল্পনা

কপিল দেব ইউটিউব শো আনকাট-এ বলেন, ‘ইশান কিষাণ ১৫ কোটির ট্যাগের চাপ অনুভব করছেন। কখনও কখনও আমরা একমত হই না, কিন্তু সত্য হল যে আপনি যখন জ্যাকপট পান তখন এটি ঘটতে পারে। এটা ভালো যে তিনি আইপিএল নিলামে এত টাকা পেয়েছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি এত বড় অঙ্কের টাকা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বোকা নয়। তারা জানে যে এই খেলোয়াড় প্রতিভাবান এবং তাই তাদের প্রত্যাশা রয়েছে। তবে কখনও কখনও একজন খেলোয়াড় সেই চাপ অনুভব করেন।’

IPL আয়োজনে বড় সমস্যা তৈরি করবে পাকিস্তান! ফাঁস হল PCB-র পরিকল্পনা

ভারতের প্রাক্তন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব ইতিহাসের পাতা থেকে একটি উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট থেকে কিছু নাম বের করেছিলেন, যারা একই পরিণতির শিকার হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে, যুবরাজ সিংকে দিল্লি ক্যাপিটালস (তৎকালীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস) ১৪ কোটিতে কিনেছিল, তারপরে তিনি ১৪টি ম্যাচে ৩৪-এর উপরে গড়ে ৩৭৬ রান করেছিলেন।

IPL আয়োজনে বড় সমস্যা তৈরি করবে পাকিস্তান! ফাঁস হল PCB-র পরিকল্পনা

কপিল দেব বলেন, ‘আমরা যুবরাজকেও মোটা টাকার চাপে থাকতে দেখেছি। এমন কি তিনিও তা অনুভব করেছিলেন। দীনেশ কার্তিক, পাঠান ভাইদের ক্ষেত্রেও একই রকম... তারা সবাই প্রচুর অর্থ পেয়েছিলেন। তাই কখনও কখনও প্রচুর অর্থ পাওয়া খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের উপর চাপ দেয়।’