শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে ক্লোজ লড়াই করে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে ছিল বাবর আজমদের পাকিস্তান দল। এর পরে গ্রুপ ফটো সেশনের সময়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের ট্রফি উদযাপনের মুহূর্তটা এমএস ধোনির কথা মনে করিয়ে দিলেন। ম্যাচের শেষ দিকে অলরাউন্ডার মহম্মদ নওয়াজের ক্লিন হিটের কারণে পাকিস্তান ১৯.৩ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে সফল হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে অন্য দল ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের পরে,বাবর আজমকে ট্রফিটি হস্তান্তর করা হয়েছিল কিন্তু তিনি তা নিয়ে তাঁর সতীর্থদের কাছে হস্তান্তর করে দেন। তারপর ফ্রেমের বাইরে চলে যান তিনি। একেবারে এমএস ধোনির স্টাইলে ফ্রেমের বাইরে চলে যান বাবর আজম।
আরও পড়ুন… বাংলাদেশের টিম কম্বিনেশন প্রস্তুত- সিরিজের সব ম্যাচ হেরেও শ্রীরামের এ কেমন যুক্তি!
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের ট্রফি নিয়ে উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে। কয়েক সেকেন্ড পরে,বাবর ফিরে আসেন,তাঁর সতীর্থদের গ্রুপের জন্য সংগঠিত হতে বলেন। বাবর আজমের মধ্যেএকজন সত্যিকারের নেতার লক্ষণ দেখা যায়। ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক ধোনি এটিকে তাঁর ট্রেডমার্ক বানিয়েছিলেন। যখনই ভারত মাহির অধিনায়কত্বে একটি বড় ট্রফি জিতেছে,তিনি ট্রফি উদযাপনের সময় কেন্দ্রে থাকতেন না। বেশিরভাগ সময়,তিনি তরুণদের হাতে তা তুলে দিয়ে তাদের উদযাপন করতে দিতেন এবং তিনি সাইডে চলে যেতেন।
ম্যাচের কথা বললে, ফাইনালে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৩৮ বলে দুরন্ত ৫৯ রানের হাত ধরে কিউয়িরা ১৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলে। এ ছাড়া গ্লেন ফিলিপসের ২২ বলে ২৯,মার্ক চ্যাপম্যানের ১৯ বলে ২৫ এবং জেমস নিশামের ১০ বলে ১৭ রান নিউজিল্যান্ডের পুঁজিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে। তবে বাকি ব্যাটারদের দশা তথৈবচ। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানেই শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। পাকিস্তানের নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রাউফ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান এবং মহম্মদ নওয়াজ।
আরও পড়ুন… পাক ক্রিকেটে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্ক, আক্রমকে মুখের ওপর জবাব দিলেন আকিব জাভেদ
খুব বড় লক্ষ্য ছিল না পাকিস্তানের সামনে। তবে রান তাড়া করতে নেমে এ দিন সাফল্য পাননি পাক অধিনায়ক বাবর আজম। ১৪ বলে ১৫ করে আউট হন বাবর। তবে ২৯ বলে ৩৪ রান করে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। তবে এ দিন সমালোচকদের জবাব দিয়ে পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচ জেতায় তাদের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা।
মহম্মদ নওয়াজ এবং হায়দার আলির ঝড়ো ব্যাটিং-ই পাকিস্তানকে জয়ের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়। ১৫ বলে ঝড়ো ৩১ করেন হায়দার আলি। আর নওয়াজ ২২ বলে অপরাজিত ৩৮ করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সাতে নেমে ইফতিকার মাসুদও ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া তিনে নেমে শান মাসুদ ২১ বলে ১৯ করেছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।