ব্যক্তিগত কারণে এবছর আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সুরেশ রায়না। আমিরশাহি ছেড়ে তাঁর দেশে ফেরার এর থেকে বেশি কোনও কারণ জানা না গেলেও খবর পাওয়া যায় যে, পঞ্জাবের পাঠানকোটে রায়নার পরিবারের সঙ্গে ভয়ানক ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের হাতে রায়নার পিসেমশাইয়ের মৃত্যু হয়েছে এবং পরিবারের আরও চার সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর শোনা যায়।
দেশে ফেরার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা স্বীকার করে নিলেন রায়না। তিনি টুইট করে জানান যে, পিসেমশাইয়ের পর মৃত্যু হয়েছে এক তুতো ভাইয়েরও। রায়না এমন জঘন্য অপরাধীদের খুঁজে বার করার জন্য পঞ্জাব পুলিশকে অনুরোধ জানান। তিনি এপ্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরও।
টুইটারে রায়না লেখেন, ‘পঞ্জাবে আমার পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তাকে ভয়ঙ্কর বলাও যথেষ্ট নয়। আমার পিসেমশাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমার পিসি ও তুতো ভাইদের আহত করা হয়। বেশ কিছুদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর আমার তুতো ভাই গত রাতে মারা গিয়েছে। আমার পিসি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় লাইফ-সাপোর্টে রয়েছেন।’
আরও একটি টুইটে রায়না লেখেন, ‘আজ পর্যন্ত আমরা জানি না, সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল এবং কারা এটা করেছে। আমি পঞ্জাব পুলিশকে অনুরোধ করছি বিষয়টিতে নজর দেওয়ার। আমাদের এটা জানার অধিকার আছে, কারা ওদের সঙ্গে এমন জঘন্য কাজ করেছে। এই সব অপরাধীদের আরও অপরাধ করে বেড়াতে দেওয়া উচিত নয়।’
রায়না টুইটটি ট্যাগ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়কে।
উল্লেখ্য, পঞ্জাবের পাঠানকোট জেলার থারিয়াল গ্রামে গত ২০ অগস্ট (১৯ অগস্ট রাতে) রায়নার ৫৮ বছর বয়সী পিসেমশাই আশোক কুমার দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩-৪ জনের দুষ্কৃতীদল কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে হামলা চালায়। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই তারা বাড়িতে ঢোকে। আশোক কুমারের মাথায় আঘাত লাগলে তাঁর মৃত্যু হয়। নগদ টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।