পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার তাঁর ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য পরিচিত। শোয়েব আখতার তাঁর ক্যারিয়ারে ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে রেকর্ড গড়েছিলেন। এই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেননি। শোয়েব আখতার ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ নামেও পরিচিত। তাঁর উদাহরণ ক্রিকেট বিশ্বের উদীয়মান ফাস্ট বোলারদের দেওয়া হয় যারা ফাস্ট বোলিং শিল্প শিখতে চান। টিম ইন্ডিয়াতে উমরান মালিকের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে অতিরিক্ত ফাস্ট বোলারদের উপর মনোযোগও দ্রুত বেড়েছে।
টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন শোয়েব আখতার। এতে তাঁকে দ্রুত ইয়র্কার বলে ব্যাটসম্যানদের বোলিং করতে দেখা যাচ্ছে। এরপর ভিডিয়োর দ্বিতীয় অংশে আখতারকে বোলিং মেশিনের সঙ্গে দেখা যায়। এটিতে, তিনি ১০০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় (১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়) বলের মুখোমুখি হতে কেমন লাগে তা বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন… Ranji Trophy: 'আত্মতুষ্টির জায়গা নেই', নক-আউটের টিকিট নিশ্চিত করেও সাবধানী বাংলা কোচ লক্ষ্মীরতন
আমরা আপনাকে বলি যে এক সময় অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি এবং শোয়েব আখতারের মধ্যে ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য একটি বড় প্রতিযোগিতা ছিল। ব্রেট লির ক্যারিয়ারের দ্রুততম ডেলিভারি ছিল ১৬০.৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা যা তিনি ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেছিলেন। যেখানে, শোয়েব আখতার দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় একটি ওডিআই ম্যাচে ইংল্যান্ডের ওপেনার নিক নাইটকে ১৬১.৩ কিমি প্রতি ঘণ্টা (১০০.২ মাইল প্রতি ঘণ্টায়) ডেলিভারি করেছিলেন।
আরও পড়ুন… ভারতকে বিপদ থেকে রক্ষা করলেন, স্মৃতির রেকর্ড ভেঙে অভিষেকের তারকা আমানজোৎ
মজার ব্যাপার হল, ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম ডেলিভারি করার রেকর্ড শোয়েব আখতারের নামেই রয়েছে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন একটি ওডিআই ম্যাচে ইংল্যান্ডের ওপেনার নিক নাইটকে ১৬১.৩ কিমি/ঘন্টা (১০০.২ মাইল) গতিতে বল করেছিলেন। এটি ছিল তাঁর প্রথম ওভারের শেষ বল। ওভারে নিজের প্রথম পাঁচটি ডেলিভারিতে ১৫৩.৩ কিমি/ঘন্টা, ১৫৮.৪ কিমি/ঘন্টা, ১৫৮.৫ কিমি/ঘন্টা, ১৫৭.৪ কিমি/ঘন্টা এবং ১৫৯.৫কিমি/ঘন্টা গতিতে বল করে আখতার ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় ফেলেছিলেন।
এদিনের ভিডিয়োতে শোয়েব আখতার বোলিং মেশিনের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তিনি বোঝার চেষ্টা করছিলেন এমন গতিতে বল আসতে দেখে কেমন মনে হত। আসলে তিনি এত দিন এই গতিতে বোলিং করেছিলেন কিন্তু এই প্রথম শোয়েব দেখলেন এমন গতিতে বল আসলে সেটি কেমন দেখতে লাগে। একবারে ক্রিজের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত বোলিং মেশিনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তিকে শোয়েব ৯৯.৯ মাইল প্রতি ঘণ্টায় বল থ্রো করতে বলেন। এবং তিনি নেটে দাঁড়িয়ে সেটি উপভোগ করেন। যখন বলটি হয়েছিল সেটি দেখে চমকে যান শোয়েব। তিনি এখন বুঝতে পারেন যে অতীতে ব্যাটারদের শোয়েব আখতারের বল খেলতে কতটা অসুবিধা হত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।