সঞ্জুর জনসমর্থনের নেপথ্যে কি অন্য গল্প? প্রশ্ন তুললেন স্বয়ং স্যামসনের কোচ বিজু জর্জ

সঞ্জু স্যামসনের ছোটবেলার কোচ বিজু জর্জ বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যা চলছে, মানুষ কোনও কারণ ছাড়াই ঋষভ পন্তের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। পন্ত দলে আছেন কারণ তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। দেখুন, ঋষভ পন্ত ও সঞ্জু স্যামসনের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।’

সঞ্জু স্যামসন ও ঋষভ পন্ত (ছবি-পিটিআই/এএনআই)

ভারতীয় ক্রিকেট দলের উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসনের একটি শক্তিশালী ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে। সারা বিশ্বে তার ভক্ত ছড়িয়ে আছে। সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচে তার কয়েকজন ভক্তকে দেখা গেছে। সঞ্জু যখন টিম ইন্ডিয়ার বাইরে, তখন তার ভক্তরা বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে তাদের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ক্রিকেট সিরিজের সময় এটি দেখা গেছে।

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েছিলেন সঞ্জু যখন দ্বিতীয় ম্যাচে বাদ পড়েছিলেন তিনি। এরপরই বিসিসিআই-এর কড়া সমালোচনা করেন সঞ্জুর ভক্তরা। ঋষভ পন্ত এবং সঞ্জু স্যামসনের মধ্যে কে সেরা উইকেটরক্ষক তা নিয়ে ভক্তরা প্রায়ই বিতর্ক শুরু করেছেন। একইসঙ্গে এখন এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সঞ্জুর ছোটবেলার কোচ বিজু জর্জ।

ক্রিকেট নেক্সট-এর সঙ্গে আলাপকালে সঞ্জু স্যামসনের ছোটবেলার কোচ বিজু জর্জ বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যা চলছে, মানুষ কোনও কারণ ছাড়াই ঋষভ পন্তের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। পন্ত দলে আছেন কারণ তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। দেখুন, ঋষভ পন্ত ও সঞ্জু স্যামসনের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।’

বিজু জর্জ আরও বলেন, ‘স্যামসন খেলছেন, তিনি ভারতের হয়ে খাঁটি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারেন। কিছুদিন ধরে উইকেটের পিছনে বড় কোনও ভুল করেননি পন্ত। পন্তের উইকেটকিপিং দক্ষতা খুবই ভালো। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের হয়ে লাল ও সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে আসছেন তিনি।’

কোচ বিজু জর্জ আরও বলেছেন, ‘আমি পছন্দ করি না যে মাল্লু জনতা সঞ্জু স্যামসনকে বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছে এবং ঋষভ পন্তকে হেয় করছে। এটা খুবই অন্যায়। কেরালার রাজনীতিবিদরা মনে করেন, ক্রিকেট হল রাজনীতির আরেকটি খেলা। তারা বলেন, সঞ্জুকে শিকার করা হচ্ছে। কিন্তু মোটেও তেমনটা নয়। আমি এমনটা বিশ্বাস করি না। এটা এমন একটা পরিস্থিতি যেটা সঞ্জুর পক্ষে কাজ করছে না। ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের টার্গেট করা হচ্ছে না। আমি মনে করি না ভারতীয় ক্রিকেটে কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়।’