জার্মান মিডফিল্ডার মাত্তি স্টেইনম্যানের সঙ্গে ২ বছরের চুক্তি থাকলেও তিনি দল ছেড়েছেন। আসন্ন মরসুমে অস্ট্রেলিয়ান লিগে খেলবেন স্টেইনম্যান। ব্রাইট এনোবাখারেকেও ধরে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য ফুটবলাররাও একে একে অন্য দলে সই করছেন। জটিল অবস্থায় সামনে দাঁড়িয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল। গত বছর শেষ মুহূর্তে আইএসএলের দরজা খুলেছিল, ফলে দল গঠন দেরি হয়। এর কারণেই ভালো মানের ফুটবলারকে আনতে পারেননি কর্তারা। এ বছর দল সাজানোর সুযোগ ও সময় থাকলেও লালা হলুদ ক্লাব কর্তা ও ইনভেস্টারের লড়াইয়ের ফলে প্রশ্ন চিহ্ন পড়েছে সবক্ষেত্রে। ইনভেস্টারের পাঠানো টার্মশিটে এখনও সই করেননি ক্লাবের কর্তারা ফলে দলগঠন প্রক্রিয়া এখনও থমকে রয়েছে লাল হলুদে। এদিকে দলের ফুটবলাররাও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখে ক্লাব ছাড়ছেন।
এমন অবস্থায় মুখ খুললেন শ্রী সিমেন্ট কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর। তিনি নিজেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। এক সাক্ষাত্কারে হরিমোহন বাঙ্গুর জানান, ‘SC ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি নিজেই নিশ্চিত নই। সমর্থকদের কী ভাবে আশা দেখাব? সমর্থকেরা অপেক্ষা করলেও, তাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের গাফিলতিতেই আজ পরিস্থিতি এ জায়গায় এসে পৌঁছিয়েছে। ৬ মাস ধরে ওরা বিষয়টাকে ঝুলিয়ে রেখেছে। টার্মশিটে সই করছে না। এক মিনিটের একটা কাজ, এত দেরি করলে কি ভাবে হবে!’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এখনই আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাই না। এখনও সময় রয়েছে। ক্লাব কর্তারা টার্মশিটে সই করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
এখন শ্রী সিমেন্টের টার্মসিটে সইয়ের দিকে তাকিয়ে লাল-হলুদ সমর্থকেরা। লাল-হলুদ কর্তা বনাম লাল হলুদ ইনভেস্টারের লড়াইয়ে যেন না ক্লাবের ক্ষতি হয়। বাংলা ফুটবলের আবেগ নষ্ট হয়। আবারও কি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে লাল-হলুদ সমর্থকদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।