শেষ দুই মাসে ভারতীয় ক্রিকেটে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন দুই তরুণ ব্যাটার ইশান কিষাণ ও শুভমন গিল। পরপর দুই ওয়ান ডে সিরিজে একে একে ২০০-র ক্লাবে প্রবেশ করেছেন তারা। প্রথম শুরু করেন ইশান কিষাণ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে দ্রুততম ডবল সেঞ্চুরি করেন তিনি। ২১০ রানের ইনিংস খেলেন ইশান।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডেতে ২০৮ রানে অপরাজিত থাকেন শুভমন গিল। তাঁদের এই অনবদ্য ইনিংস সবার নজর কেড়েছে। সেই সঙ্গে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। শুধু ভারতীয় ক্রিকেটে নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে এখন হট টপিক এই দুই ব্যাটার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান করলেও ইশান পরে বেশ কয়েটি ম্যাচে দলের বাইরে থাকেন। টিম ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
এমন ঘটনা এই প্রথম হয়েছে তা একেবারেই নয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ম্যাচের সেরা হন কুলদীপ যাদব। কিন্তু ঠিক পরের ম্যাচেই তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়। এমন সিদ্ধান্ত শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। ঠিক যেমনটা হয়েছে ইশানের সঙ্গে। ঠিক সেই কারণে গিল এবং ইশানকে সতর্ক করলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর। তিনি মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেটে চোখের পলকে সবকিছু বদলে যায়। তাই আবেগে গা না ভাসিয়ে নতুন ক্রিকেটারদের লড়াইয়ের মাধ্যমে টিকে থাকতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ইশান এবং গিল এখন সবার নজরে রয়েছেন। অনেক কথা হচ্ছে তাঁদের নিয়ে। কিন্তু ভারতীয় ওপেনিং জুটিতে কে জায়গা পাবেন তা নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা। গাভাসকর মনে করিয়ে দিয়েছেন তাদের সামনে এখনও অনেক পথ চলা বাকি। এর আগে অনেক ভারতীয় তরুণ তারকা ভালো শুরু করে ও মাঝপথে হারিয়ে গিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন রাজেশ চৌহান, করুণ নায়ার, লক্ষ্মীপতি বালাজি, এসএস দাসের মতো ক্রিকেটাররা। তবে গাভাসকর আশা করেন, এই তালিকায় নাম লেখাবেন না শুভমন গিলরা।
একটি সংবাদপত্রে সানি লিখেছেন, ‘গত এক-দুই মাসে দুই ভারতীয় ক্রিকেটারের থেকে দুটি দ্বিশতরানের ইনিংস আমরা দেখেছি। দুই তরুণ আত্মবিশ্বাসে ভরা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। ওদের সামনে অনেকটা পথ পড়ে রয়েছে। তাই আগামীতে ওরা কেমন খেলবে তা পুরোটাই ওদের উপর নির্ভর করছে।’
ভারতীয় কিংবদন্তি দলের তরুণ প্রতিভাদের প্রশংসা করেছেন। তার সঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেছেন বর্তমানে ভালো খেলা বা নিজেকে প্রমাণ করার অন্যান্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তিনি বিশেষ করে আইপিএলের কথা বলেছেন। যেখানে ক্রিকেটাররা নিজেদের জাতীয় দলের ব্যর্থতা ভুলে নির্ভিকভাবে খেলতে পারেন। ইশান, শুভমনের ক্ষেত্রে বিষয়টা এরকম নয় বলেই তিনি মনে করেন।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক লিখেছেন, ‘এখনকার তরুণরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার দুশ্চিন্তা তাদের মাথায় আসে না। কারণ তাদের কাছে আইপিএলের মতো মঞ্চ রয়েছে। আইপিএলে তারা কমপক্ষে ১৪টি ম্যাচ পায়। যখন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার চিন্তা মাথায় থাকে না, তখন ক্রিকেটাররা দলের বাইরে দারুণ পারফর্ম করতে পারে। তখন অন্যরাও তাদের জাতীয় দলের ব্যর্থতা ভুলে যায়।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।