বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস,হয়ে পড়েছিলেন 'অন্ত্বঃসত্ত্বা'! বাবর আজমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মহিলার

বাবর আজমের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন হামিজা, আলোড়ন তৈরি হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বে।

চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বাবরের নামে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথমবার যে কোনও ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপে এটাই ছিল টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম জয়। স্বভাবতই ওয়াঘা সীমান্তের ওপারে এখন সকলের নয়নের মণি বাবর আজম। কিন্তু একটা সময় ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল বাবরের। নিজেকে বাবরের প্রেমিকা দাবি করে, হামিজা মুখতার জানিয়েছিলেন বাবর তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ বছর যৌন হেনস্থা চালিয়েছে বাবর। ২০২০ সালের নভেম্বরে এই অভিযোগ ওঠে বর্তমান পাক অধিনায়কের বিরুদ্ধে। 

হামিজা ডেইলি পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে দাবি করেছিলেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষমেষ বেঁকে বসেন বাবর, তাই শেষমেষ আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছেন বাবরের এই চর্চিত প্রেমিকা। বাবরের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও যৌন হেনস্থার মামলা দায়ের করেন হামিজা।

কোরান শরিফে হাত রেখে হামিজা জানান, বাবরের বিরুদ্ধে আনা প্রতিটি অভিযোগ সত্য। তিনি বলেন, ‘ও (বাবর) আমায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ওর জন্য আমি অন্ত্বঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছিলাম। ও আমায় মারত। ও আমায় হুমকি দিয়েছিল এবং ও আমায় ব্যবহার করেছে’। হামিজাকে মুখ বন্ধ রাখবার জন্য ২০ লক্ষ টাকার অফার দিয়েছিল বাবরের পরিবার, এমনটাও অভিযোগ আনেন তিনি।

ওই মহিলার দাবি ছিল, স্কুলে পড়ার সময় বারবের সঙ্গে তাঁর আলাপ তৈরি হয়েছিল। ২০১০ সালে তাঁকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন বাবর। পরিবার সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ২০১১ সালে হামিদা বাড়ি ছাড়েন, সেই সময় বাড়ি থেকে দু লক্ষ টাকার গহনা চুরি করেছিলেন বলে জানান তিনি। তবে ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গে থাকলেও বিয়ে করেননি দুজনে, কারণ সেই সময় নাবালিকা ছিলেন হামিজা। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালে যখন অন্ত্বঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছিলেন, তখন থেকেই বাবরের ব্যবহারে বড়সড় পরিবর্তন ধরা পড়ে।

২০২০-এর নভেম্বরে ওই মহিলার অভিযোগের জেরে শোরগোল পড়েছিল গোটা পাকিস্তানে, আদালতের নির্দেশে পুলিশ মামলাও রুজু করে পাক অধিনায়কের বিরুদ্ধে। সেইসময় নিউজিল্যান্ড সফরে ছিলেন বাবর। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতেই বদলে যায় সবকিছু। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে হামিজা নিজের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। কোর্ট থেকে মামলাও তুলে নেন। 

পাকিস্তানি সাংবাদিক সাজ সাদিক একটি টুইট ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে ওই মহিলা জানান, বাবরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভুয়ো এবং তিনি নিজের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।