তখন রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের ৩০ বলে ২৯ রান। এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ বলে ৬৩ রান। ডানহাতি আবেশ খানের বলে ডুসেন একটি লম্বা শট মারেন। ডিপ মিড-উইকেট এড়িয়ায় সোজা শ্রেয়স আইয়ারের কাছে চলে যায় বলটি। লোফা ক্যাচ ছিল। কিন্তু সেই ক্যাচটি মিস করেন শ্রেয়স। আর সেই সময়েই ম্যাচও হাত থেকে বেরিয়ে যায় ভারতের। ৪২০-র বেশি রান হওয়া ম্যাচে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত ছিল।
ডুসেন নতুন জীবনদান পেয়েছিলেন। এবং তার পরে ১৫ বলে ৪৫ করে ম্যাচের রং তিনি বদলে দেন। ডুসেন নিজেও বলেছেন, আইয়ারের এই ক্যাচ ফেলার মাশুল ভারতকে চোকাতে হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৭ উইকেটে হারানোর পর ভ্যান ডার ডুসেন বলেছেন, ‘শ্রেয়স যখন এই ক্যাচ ফেলে দেন, তখন আমি জানতাম যে ওদের এর মাশুল দিতে হবে। কারণ আমি তখন থেকে ঠিকঠাক ব্যাটে বলে লাগাতে শুরু করেছিলাম।’
আরও পড়ুন: ঝোড়ো ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়ে ডি'ভিলিয়র্সকে পিছনে ফেললেন মিলার
আরও পড়ুন: ভারতের মাটিতে আন্তর্জাতিক T20 ম্যাচে জুটিতে সর্বাধিক রানের নজির মিলার-ডুসেনের
ডুসেন ৪৬ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ ডেভিড মিলারের (৩১ বলে অপরাজিত ৬৪) সঙ্গে অপরাজিত ১৪১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পাওয়ার আসল কারণ হয়ে ওঠে।
ডুসেন তাঁর ইনিংসের শুরুতে অবশ্য লড়াই করছিলেন। ঠিকঠাক টাইমিং হচ্ছিল না। কিন্তু তিনি জীবনদান পেয়ে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, নিজের ইনিংসের শুরুতে বাউন্ডারি মারতে না পেরে আমি নিজেকে এবং দলকে কিছুটা চাপেই ফেলে দিয়েছিলাম। কিন্তু এটি উদ্দেশ্যের অভাব, বা পরিকল্পনার অভাব, বা মনের স্বচ্ছতার অভাবের কারণে হয়নি। আপনি জানেন, কখনও কখনও এটি ঠিকঠাক করা সম্ভব না।’
ডানহাতি ব্যাটার, যিনি ২০২২ আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন, তিনি ম্যাচের ১৭তম ওভারে হার্ষাল প্যাটেলকে তিনটি ছক্কা এবং একটি চার মেরেছিলেন। আর এই ওভারেই অ্যাডভান্টেজে চলে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভ্যান ডার ডুসেন বলেছেন, ‘আমি ওকে (হার্ষাল) আইপিএলে দেখেছি, ও দুর্দান্ত ছিল। ও ভালো স্লোয়ার বল করে। তাই ওকে প্রথম দু'টি বলে ছক্কা মারার পর আমি জানতাম, ও স্লোয়ার দেবে। কিন্তু তার পরও চালিয়ে খেলতে হবে।’