ইয়াসের জেরে তীব্র সঙ্কটে দিন কাটানো সুন্দরবনের কিছু মানুষের পাশে দাঁড়াল আইএফএ। আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় রবিবার সকালে গোসাবায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। সঙ্গে আইএফএ-র অন্যান্য কর্তা এবং সদস্যরাও ছিলেন। আইএফএ অনুমোদিত সুন্দরবন নার্সারি ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের ৬৩ জন ফুটবলারের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য তুলে দিল বাংলা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
আসলে সুন্দরবন এলাকার বহু ছেলে-মেয়েই প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য, ফুটবলকে হাতিয়ার করেই ৩৬৫ দিন লড়াই করে থাকেন। কলকাতায় বিভিন্ন ক্লাবে খেলা বহু ফুটবলারের বাড়িই সুন্দরবনে। খেলার প্রতি ভাল লাগা তো রয়েছেই, সঙ্গে একটু সুস্থ ভাবে নিজেদের রোজগারের রাস্তাটাও ফুটবল খেলে পাকা করতে চান অনেকেই। আর সে কারণেই গোসাবায় একটি ফুটবল ক্যাম্প তৈরি করেছিল আইএফএ।

রবিবার আইএফএ-র টিম গোসাবায় পৌঁছলে, ত্রাণের জিনিস হাতে নিয়েই ছোট ছোট ফুটবলারদের করুণ প্রশ্ন, ‘এ বার ফুটবল শুরু হবে তো? লিগ হবে তো?’ করোনা পরিস্থিতিতে আদৌ কবে থেকে জেলা লিগ বা অন্যন্য লিগুলো শুরু করা হবে, সেই নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তই নিয়ে উঠতে পারেনি আইএফএ। স্বভাবতই গোসাবার ফুটবলারদের প্রশ্নে নিশ্চুপই থাকতে হয় আইএফএ কর্তাদের।
ইয়াসের জেরে ফের এক বার ভিটে ছাড়া হয়েছেন সুন্দরবনের মানুষ। গোসাবা, বাসন্তী, কুলতুলি, রায়দীঘি, নামখানা, সাগর, সর্বত্র একই ছবি। চরম সঙ্কটে রয়েছেন এই সব জায়গার বাসিন্দারা। নদীর বাঁধ ভেঙে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চাষের জমি, মাছের ভেরিতে নোনা জল ঢুকে পড়ায় বড় ক্ষতি হয়েছে। দু' বেলা কী খাবেন, কোথায় খাবার পাবেন, কোথায় থাকবেন, কিছুই জানেন না। অনিশ্চিত জীবনের মাঝেও ফুটবলই যেন তাঁদের বেঁচে থাকার অবলম্বন, তাঁদের কাছে একমুঠো স্বপ্ন।
লকডাউনের মাঝেও প্র্যাক্টিস করে গিয়েছেন আইএফএ ক্যাম্পের ফুটবলাররা। কিন্তু ইয়াসের পর পুরো গ্রাম ভেসে যাওয়ায়, এখন সেই প্র্যাক্টিসও বন্ধ। কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে কিছুই জানে না তাঁরা। তবু লিগে খেলার স্বপ্ন নিয়েই লড়াই করে চলেছেন গোসাবার একদল ফুটবলার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।