কী কারণে নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনকে দীর্ঘায়িত করতে পারেননি ভারতের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রবীন উথাপ্পা। কার মন্ত্রে দ্বিতীয়বার দারুন ভাবে ভারতীয় দলে ফিরে এসেছিলেন রবিন। এবার সেই সব না জানা বহু প্রশ্নের উত্তর দিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান রবীন উথাপ্পা।
একজন ক্রিকেটার যিনি নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিষেকে ম্যাচেই ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যিনি রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে পার্টনারশিপে ভারতীয় দলের জন্য ১৬৬ রান যোগ করেছিলেন। যিনি ২০০৭ সালে ভারতের ঐতিহাসিক টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তারপরেও সেই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন দীর্ঘায়িত হবেনা। এটা কি মানা যায়। এটাও কী সম্ভব। না এটা গল্প মনে হলেও, এটাই সত্যি। ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রবিন উথাপ্পার সঙ্গে এটাই ঘটেছিল।
এতো সাফল্য থাকা স্বত্ত্বেও ২০০৬ সাল থেকে দেশের হয়ে মাত্র ৪৬টি একদিনের ম্যাচ ও দেশের জার্সিতে ১৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু কেন? এই প্রশ্ন করতেই সবটা জানালেন উথাপ্পা, বললেন ‘এটা আমার সঙ্গে আমার গোটা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে হয়েছিল। যদি আপনারা আমার কেরিয়ারের তথ্য দেখেন, তাহলে আপনারা দেখতে পাবেন, আমি তিন ইনিংসের বেশি সময় একটি পজিশনে খেলতে পারিনি। প্রতি তৃতীয় গেমের পরে আমায় আমার জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হত। যদি আমি এক পজিশনে ৪৯টা ম্যাচ খেলতে পারতাম তাহলে আমি ১৪৯টা ম্যাচ খেলতে পারতাম কিমবা ২৪৯ ম্যাচও খেলতে পারতাম, কারণ আমি ভাল খেলতাম।’
এরপরে ২০০৬ সালে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে কী ভাবে টিম ইন্ডিয়ায় ফিরে এসেছিলেন তার গল্প শোনান উথাপ্পা। কার অনুপ্রেরণায় তিনি আবার ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলেন সেই অজানা তথ্য থেকে পর্দা তোলেন উথাপ্পা। ভারতের প্রাক্তন বোলার ভেঙ্কাটেশ প্রসাদের ভূমিকার কথা জানান তিনি। উথাপ্পা ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ঘটনার কতা জানান, ‘আমি যখন প্রথম ইনিংসে ৫০ স্কোর করলাম, তখন আমি নিজে নিজে খুব খুশি ছিলাম। তারপর সে ( ভেঙ্কাটেশ প্রসাদ ) আমায় নিজের ঘরে ডাকলেন, বললেন রব তোমার সঙ্গে কিছু কথা আছে।এরপর তিনি সেই মরসুমের সর্বোচ্চ রান স্কোরারের তালিকা আমার সামনে ফেলে দেন। তিনি বলেছিলেন এই তালিকায় তোমার নম্বর রয়েচে ৪৭ নম্বরে। তারপর তিনি বলেছিলেন তুমি একজন ভারতীয় ক্রিকেটার যে দারুন শুরু করেছিলে, কিন্তু এখন তুমি এই তালিকায় ৪৭ নম্বরে রয়েছ। তুমি মরসুমটা কী ভাবে শেষ করতে চাও?’
এরপেরই নিজের ভু বুঝতে পারেন রবিন উথাপ্পা, বাকি ম্যাচে দারুন ভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেন তিনি। এরপর গোটা মরসুমে ৮৫০ রান করেন উথাপ্পা। রবিন জানান ভেঙ্কির সঙ্গে কথা বলাতেই সেই মুহূর্তে তার জীবনে পরিবর্তন আসে। এরপর ২০০৭ সালে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন উথাপ্পা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।