দিল্লিতে যোগ দেওয়ার পরে মানকাডিং নিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সতর্ক করেছিলেন শ্রেয়স আইয়াররা। সেই সময় দলের কোচ ছিলেন রিকি পন্টিং এবং দিল্লি ক্যাপিটলসের অধিনায়ক ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। দুজনে মিলেই মানকাডিং নিয়ে নিজেদের দলের অবস্থান সম্পর্কে অশ্বিনকে অবগত করেছিলেন। শ্রেয়স জানিয়েছিলেন তাদের দল কখনই মানকাডিং -কে সমর্থন করে না।
আসলে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৫শে মার্চ। সেই দিন আইপিএল-এর ম্যাচে কিং ইলেভেন পঞ্জাবের মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই দিন টুর্নামেন্টের প্রথম মানকাডিং নিয়মকে হাতিয়ার করে রাজস্থান রয়্যালসের জোস বাটলারকে আউট করেছিলেন ততকালীন পঞ্জাবের বোলার আর অশ্বিন। এরপরে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল বাইশ গজে। অনেকে এর পক্ষে থাকলেও, অশ্বিনের বিরুদ্ধেও কথা বলতে শোনা যায় অনেককে। এরপরে পঞ্জাব থেকে দিল্লিতে যোগ দেন অশ্বিন। দিল্লি ক্যাপিটলসে এই স্পিনার যোগ দেওয়ার পরেই তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।
সহজভাবে বললে বলতে হয়, দিল্লিতে এসব চলবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল অশ্বিনকে। এমনই কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পন্টিং বলেছিলেন, ‘অশ্বিনের সঙ্গে এই বিষয়ে (মানকাডিং) কথা বলব। এই কাজটাই আমি প্রথম করব। সন্দেহ নেই কঠোর আলোচনা হবে। হয়ত ও এখনও ভাবতে পারে যে, নিয়ম মেনেই ও এটা করেছিল এবং ওর এটা করার অধিকার আছে। তবে এটা ক্রিকেটের স্পিরিটকে ক্ষুন্ন করে। অন্তত দিল্লি ক্যাপিটালসে আমি এমনটা চাই না কখনই।’
এবার মুখ খুললেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি জানালেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সত্যিই কঠিন ছিল। রিকি এবং আমি সত্যিই এটা বলার জন্য একটু কঠোর ছিলাম, যে আমরা এটা করতে চাইনা। আমরা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি এর পক্ষে ছিলেন, এবং জানিয়েছিলেন, 'ঠিক আছে, আপনারা যা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি তার সঙ্গেই থাকব এবং ব্যাটসম্যান অদ্ভুত কিছু না করা পর্যন্ত আমি তার সঙ্গে সঠিক ভাবেই থাকব।’ এরপর থেকে আর মানকাডিং করেননি অশ্বিন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।