কেন কার্তিকের আগে অক্ষরকে ব্যাট করতে পাঠালেন পন্ত? কারণ ব্যাখ্যা করলেন শ্রেয়স

এদিন ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রানের গতি কিছুটা ধীরে করে দিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। এই প্রসঙ্গে শ্রেয়স আইয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আগেও এমন কৌশল নিয়েছিলাম। অক্ষর যখন ক্রিজে নামেন, তখন আমাদের সাত ওভার বাকি ছিল। তিনি সিঙ্গেল রান নিতে পারেন এবং স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেন।’

ঋষভ পন্ত ও শ্রেয়স আইয়ার

দীনেশ কার্তিকের আগে অক্ষর প্যাটেলকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের এই অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিয়ে জবাব দিলেন শ্রেয়স আইয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের পিছনের আসল যুক্তি তুলে ধরলেন KKR-এর অধিনায়ক। এ দিনের ম্যাচে ছয় নম্বরে দীনেশ কার্তিকের জায়গায় ব্যাট করতে নামেন অক্ষর প্যাটেল। ফলে সাত নম্বরে ব্যাট করতে আসেন কার্তিক। 

এদিন ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রানের গতি কিছুটা ধীরে করে দিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। অক্ষর যখন আউট হন তখন স্কোর বোর্ডে রান ছিল ১১২/৬ রান। এরপরে সাত নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে ২১ বলে অপরাজিত ৩০ রান করেন দীনেশ কার্তিক। ভারত ছয় উইকেটে ১৪৮ রানে পৌঁছায়। কিন্তু যদি কার্তিক আরও আগে নামত তাহলে রান সংখ্যা আরও হতে পারত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এই প্রসঙ্গে শ্রেয়স আইয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আগেও এমন কৌশল নিয়েছিলাম। অক্ষর যখন ক্রিজে নামেন, তখন আমাদের সাত ওভার বাকি ছিল। তিনি সিঙ্গেল রান নিতে পারেন এবং স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেন।’ আইয়ার আরও বলেন, ‘এছাড়াও তখন প্রথম বল থেকে হিট করার দরকার ছিল না। ডিকে (কার্তিক) তা করতে পারেন, কিন্তু ১৫ ওভারের পরে সে আমাদের জন্য আরও বেশি উপকারী হয়েছেন। যেখানে সে ক্রিজে এসেই আঘাত করার সাথে সাথেই লম্বা শট খেলছেন।’ শ্রেয়স যুক্তি দিয়েছিলেন যে কার্তিককেও এই উইকেটে রান করতে কষ্ট করতে হয়েছিল।

শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘এমনকি শুরুতেও তার (কার্তিক) রান করাটা একটু কঠিন ছিল। এই ম্যাচে উইকেটের বড় ভূমিকা নিয়ে ছিল। যতদূর এই কৌশলটি উদ্বিগ্ন, আমরা ভবিষ্যতেও এটি অনুসরণ করব।’ অনেকেই মনে করেন, যদি কার্তিককে আগে পাঠানো হত, ভারত ১৬০ রানের বেশি করতে পারত এবং শ্রেয়সও স্বীকার করেছেন যে শেষ পর্যন্ত এটি প্রায় ১২ রান কম ছিল। আইয়ার বলেন, ‘আমি মনে করি এই উইকেটে ১৬০ রান করলে প্রতিপক্ষকে কিছুটা চাপে রাখার জন্য ভালো হত, তবে আমরা তার চেয়ে ১২ রান কম ছিলাম।’