বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মধ্যে গাঢ় বন্ধুত্বের কথা সকলের জানা। ধোনিকে সবসময় যাবতীয় সমোলেচনার থেকে বাঁচিয়েছেন কোহলি। কিন্তু রবিবার তিরুবনন্তপুরমে দর্শকরা ধোনির নাম বারবার করে নেওয়ায় উত্তক্ত্য হয়ে যান কোহলি। কিছুটা বিরক্ত হয়ে দর্শকদের ধোনির নাম না নিতে বলেন অধিনায়ক। এর কারণ হল ঠিক তখনই ভূবনেশ্বর কুমারের বলে এভিন লুইসের ক্যাচ ফেলেছিলেন পন্থ। তরুণ উইকেটরক্ষককে বিদ্রুপ করার জন্য দর্শকরা তখন বারবার মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম আওড়াচ্ছিলেন দর্শকরা। তারই প্রতিবাদ করেন বিরাট কোহলি। ম্যাচের শেষে অবশ্য কোহলি বলেন যে এত খারাপ ফিল্ডিং করলে কোনও ম্যাচ জেতা যাবে না। পন্থ ছাড়াও ক্যাচ ছাড়েন ওয়াশিংটন সুন্দর।
তবে দর্শকদের রাগ করার আরও একটি কারণ আছে। কেরালার সঞ্জু স্যামসন দলে থাকলেও এদিনও প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্ধষ ফর্মে আছেন সঞ্জু। প্রয়োজনে কিপিংও করে নিতে পারেন তিনি। তাই অনেকে ভেবেছিলেন যে পন্থের জায়গায় হয়তো সঞ্জু খেলবেন। কিন্তু বাস্তবে তা না হওয়ায় পন্থের প্রথম ভুলেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেন দর্শকরা।
কোহলি সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই বলেছিলেন পন্থের পাশে দাঁড়াতে হবে সবাইকে। বাংলাদেশ সিরিজের সময়েও পন্থ কোনও ভুল করলে ধোনির নাম আওড়াচ্ছিলেন দর্শকরা। এটাকে খারাপ প্র্যাকটিস বলে কোহলি বলেন যে একজন ক্রিকেটারকে এতটা কোণঠাসা করে দেওয়া উচিত নয়, যে সে নার্ভাস হয়ে গিয়ে নিজের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলে।
দীর্ঘদিন অফ ফর্ম কাটিয়ে রবিবার ২২ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন পন্থ। কিন্তু দলকে উইনিং টোটালে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের পর দীর্ঘ ব্রেকে গিয়েছেন ধোনি। নিজের পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানুয়ারি মাসে জানাবেন ধোনি। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা যে তাঁর অভাব অনুভব করছেন, সেটা বলাই বাহুল্য।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।