কেন রেগে যেতেন কোচ রবি শাস্ত্রী? গোপন কথা ফাঁস করলেন দীনেশ কার্তিক

রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন দীনেশ কার্তিক। ভারতের প্রাক্তন কোচ নাকি ব্যর্থতা পছন্দ করতেন না, এমনটাই জানালেন দীনেশ কার্তিক। ভারতের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক বলেছেন যে রবি শাস্ত্রী খেলোয়াড়দের বিশেষ কিছু অর্জনের জন্য সর্বদাই উৎসাহিত করতেন।

রবি শাস্ত্রী ও দীনেশ কার্তিক

রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন দীনেশ কার্তিক। ভারতের প্রাক্তন কোচ নাকি ব্যর্থতা পছন্দ করতেন না, এমনটাই জানালেন দীনেশ কার্তিক। ভারতের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক বলেছেন যে রবি শাস্ত্রী খেলোয়াড়দের বিশেষ কিছু অর্জনের জন্য সর্বদাই উৎসাহিত করতেন। তবে,দীনেশ কার্তিক দাবি করেছেন যে ভারতের প্রধান কোচ থাকাকালীন ব্যর্থতার জন্য তিনি কাউকে বেশি সহ্য করতেন না। তাঁর নাকি একটুও ধৈর্য ছিল না। ক্রিকেটাররা কিছু বেচাল করলেই রেগে যেতেন শাস্ত্রী।

৩৭ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ভারতের কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর আমলে খুব কম ক্রিকেট খেলেছেন। এমনকি ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পরেও,তিনি দল থেকে বাদ পড়েছিলেন এবং ২০২২ সালে ফিরেছিলেন।

শাস্ত্রী-কোহলির সময়কাল ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ভালো ছিল,কিন্তু উভয়েই প্রায়শই বেশ কিছু খেলোয়াড়কে সমর্থন না করার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন। কোনও ক্রিকেটার যদি একটু খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে যেতেন, তখন সেই সব ক্রিকেটারদের দিকে একটুকুও সহানুভূতি দেখাতেন না।

Cricbuzz-এর সঙ্গে কথা বলার সময়ে কার্তিক বলেছিলেন,‘শাস্ত্রীর একটুও ধৈর্য ছিল না। যদি কোনও ক্রিকেটার একটা নির্দিষ্ট গতিতে রান না করত,তা হলে শাস্ত্রী বিরক্ত হতেন। কোনও ক্রিকেটার অনুশীলনে যেমন খেলত,ম্যাচে তেমন না খেললেই শাস্ত্রী রেগে যেতেন। ব্যর্থতা একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। শাস্ত্রী সব সময় চাইতেন দলের ক্রিকেটাররা ভালো খেলবে।’

রবি শাস্ত্রী প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,‘উনি খুব প্রতিভাবান না হলেও পরিশ্রমের জোরে সাফল্য পেয়েছেন। ওঁর কাছে যা আশা করা হয়েছিল তার থেকে বেশি সাফল্য দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটকে। দলের যে কোনও ক্রিকেটার যে কোনও সময় শাস্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারত। ওঁর সময়ে ক্রিকেটারদেরও মানসিকতায় বদল এসেছিল। সবাই জিততে চাইত। হার কেউ মেনে নিতে পারত না।’

দীনেশ কার্তিক আরও বলেন,‘তিনি (শাস্ত্রী) এটির খুব বেশি প্রশংসা করবেন না। শাস্ত্রী ঠিক জানতেন যে তিনি দলের কাছ থেকে কী চান,কিন্তু ব্যর্থতার জন্য তার খুব কম সহনশীলতা ছিল। তিনি সবসময় মানুষকে দুর্দান্ত করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’ কার্তিক,যিনি ৩৭ বছর বয়সী,টি-টোয়েন্টি সেটআপে একজন ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেন। কার্তিক ইতিমধ্যেই বলেছেন যে তিনি রোহিত শর্মা-রাহুল দ্রাবিড় যুগে আরও নিরাপদ বোধ করেন। দীনেশ কার্তিকও স্বীকার করেছেন যে তিনি একজন কোচ হিসাবে সফল হয়েছেন এবং তিনি খেলোয়াড়দের থেকে বিশেষ কিছু পেতে চান।