পিএসজি-র সঙ্গে নানতেসের ম্যাচ চলছিল। সবই ঠিকঠাক ছিল। ম্যাচের স্কোর তখন ১-১। হঠাৎ-ই ম্যাচের ৬২ মিনিটে আনখেল দিমারিয়াকে তুলে নেন পিএসজি-র কোচ মৌরিসিয়ো পোচেত্তিনো
। মাঠ থেকে বেরিয়ে কোচের সঙ্গে কথা বলার সময় দেখা যায়, দিমারিয়ার মুখে দুঃশ্চিন্তার কালো মেঘের ছায়া। এর পরই কোচের সঙ্গে টানেল দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় আর্জেন্তিনার ফুটবলারকে।
দিমারিয়াকে তুলে নেওয়ার আগে অবশ্য ক্লাবের ডিরেক্টর লিওনার্দোর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল পোচেত্তিনোকে। পুরো ঘটনায় সকলেই একটু ঘাবড়ে যায়। তবে বিষয়টা ঘাবড়ানোর মতোই ছিল। দিমারিয়ার বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে বন্দি বানিয়ে ডাকাতি করে কিছু দুষ্কৃতি। এই খবর পেয়েই স্টেডিয়াম ছেড়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির দিকে রওনা দেন দিমারিয়া।
দিমারিয়ার অনুপস্থিতিতে পিএসজি ম্যাচটি ১-২ হেরে যায়। কোচ অবশ্য জানিয়েছেন, ‘আমরা সকলে আশঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। এই বিষয়টা খেলার চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ এর আগেও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে থাকার সময়েও একবার দিমারিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হয়। তার পরেই তিনি ম্যান ইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনেকেই সেই সময় বলেছিলেন, ডাকাতির ঘটনার কারণেই ম্যান ইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর্জেন্তিনার মিডফিল্ডার।
পিএসজি ফুটবলারদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও সার্জিও রিকো, থিয়াগো সিলভা, এরিক ম্যাক্সিম সুপো মোটিংদের বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।