হার্দিক পাণ্ডিয়ার চোটই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেঙ্কটেশ আইয়ারের সামনে জাতীয় দলের দরজা খুলে দিয়েছিল। যদিও বেঙ্কটেশ মাত্র দু'টি সুযোগের পরে ওডিআই দল থেকে বাদ পড়েন। তবে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাট এবং বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন। অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন তিনি।
আর বেঙ্কটেশের পারফরম্যান্স দেখার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি প্লেয়ার ইয়ান বিশপ বলে দিয়েছেন, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার্দিক পাণ্ডিয়ার অভাব পূরণ করতে পারেন একমাত্র ২৭ বছরের নাইট রাইডার্সের তারকা প্লেয়ার। তিনিই যোগ্য ব্যক্তি, যিনি হার্দিকের জুতোয় পা গলাতে পারেন।
রবিবার ইডেনে ভারত ৩-০ -এ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে। আর হোম সিরিজের তিনটি ম্যাচে আইয়ার প্রতি ৩.৬ বলে একটি বাউন্ডারি সহ ১৮৪ স্ট্রাইক রেটে ৯২ রান করেন। তিনি সূর্যকুমার যাদবের পরে এই সিরিজে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও। এবং তিনটি ম্যাচেই ভারতকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বেঙ্কটেশ। সিরিজে ৩.১ ওভার বল করে ১৩.৫০ গড়ে ২টি উইকেটও নিয়েছেন।
স্টার স্পোর্টসে আলোচনার সময়ে যখন ইয়ান বিশপকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার্দিক পাণ্ডিয়ার অভাব কি বেঙ্কটেশ আইয়ার পূরণ করতে পারবেন? তখন বিশপ সম্মত হয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই’।
যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে, ভারতের ব্যাটিংয়ের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং অত্যন্ত দুর্বল ছিল। তাও বেঙ্কটেশ আইয়ারের বহুমুখী প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হন বিশপ। তিনি বলেছেন, ‘অনেকেই বলতে পারেন যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত কিছু নয়, এবং তাঁরা সঠিকই বলছেন। কিন্তু এই বিষয়ে আইয়ারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এবং তিনি তাঁর বহুমুখী প্রতিভা দিয়ে আমাকে অবাক করে দিয়েছেন। কারণ আমি যখন ওকে আইপিএলে দেখেছি, আমি টপ অর্ডারে ব্যাটিং করতে দেখেছি। কিন্তু এখন মিডল অর্ডারে ব্যাট করছেন। দুরন্ত পারফরম্যান্স ওঁর। দুর্দান্ত স্ট্রাইক রেট রয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে কী করেন, সেটা আমরা দেখব। তবে এই মুহূর্তে তিনি যে পজিশনে খেলছেন, সেটা একেবারে সেরা।’