অ্যাসেজের ভরাডুবির পরে ইংল্যান্ড ঢেলে সাজিয়েছে টেস্ট দল। বাদ পড়েছেন ব্রড-অ্যান্ডারসন-বাটলারের মতো তারকারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অ্যান্টিগা টেস্ট দিয়েই নতুন করে যাত্রা শুরু করাই ছিল ইংল্যান্ডের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে শুরুতেই ধাক্কা খাওয়ার উপক্রম হয়েছিল ব্রিটিশদের। তবে মান বাঁচে জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে।
বেয়ারস্টোর অনবদ্য শতরানের সুবাদেই প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে অসহায় আত্মসমর্প করতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। নাহলে তাদের ইনংসের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। সারা অ্যাসেজ সিরিজ জুড়ে প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয়ের যে চেনা ছবি দেখা গিয়েছে, ইংল্যান্ড সেই ধারা বজায় রাখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শুরুতেও।
নর্থ সাউন্ডে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। টেস্ট অভিষেককারী ওপেনার অ্যালেক্স লিস ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই কেমার রোচের শিকার হন। ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। অপর ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ৮ রান করে জয়ডেন সিলসের বলে উইকেটকিপার জোশুয়ার দস্তানায় ধরা পড়েন।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্যাপ্টেন জো রুট। তিনি ১৩ রান করে রোচের বলে বোল্ড হন। ড্যান লরেন্স ২০ রান করে হোল্ডারের বলে ব্ল্যাকউডের হাতে ধরা পড়েন। ইংল্যান্ড দলগত ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি বেঁধে বেন স্টোকস বিপর্যয় রোধের চেষ্টা করেন বটে, তবে খুব বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি নিজের তথা দলের ইনিংসকে। ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় সিলসের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন স্টোকস। ইংল্যান্ড ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে।
এর পর বেন ফোকসকে সঙ্গে নিয়ে পালটা লড়াই শুরু করেন বেয়ারস্টো। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে দু'জনে যোগ করেন ৯৯ রান। ফোকস ৪২ রান করে হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হন। ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করে প্রথম দিনে অপরাজিত থাকেন বেয়ারস্টো।
আপাতত প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৮ রান তুলেছে। ১৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৯ রান করে নট-আউট থাকেন বেয়ারস্টো। ক্রিস ওকস ব্যাট করছেন ২৪ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রোচ, সিলস ও হোল্ডার ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।