শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। কিউয়িদের এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে অধিনায়ক টম লাথাম, যিনি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে ৭৫ বলে ৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ড্যারেল মিচেলের (৬৩) সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১২০ রান যোগ করেন লাথাম। প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিউয়িদের সামনে ৩০২ রানের টার্গেট দেয়। শাই হোপ ও নিকোলাস পুরানের হাফ সেঞ্চুরি এবং কাইল মেয়ার্সের সেঞ্চুরির হাত ধরেই তিনশোর গণ্ডি টপকায় ক্যারিবিয়ানরা।
নিউজিল্যান্ড ৪৭.১ ওভারে সেই লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুড়ে ফেলে। সেই সঙ্গে ইতিহাস লিখে ফেলে কিউয়িরা। এই প্রথম বার তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ওডিআই সিরিজ জিতল। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওডিআই ম্যাচ জিতলেও, কখনও সিরিজ জেতেনি নিউজিল্যান্ড। প্রথম বার ১৯৯৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওডিআই ম্যাচে তারা জয় পেয়েছিল। এর ২৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওডিআই সিরিজ জিতল কিউয়িরা।
আরও পড়ুন: অবশেষ শাপমুক্তি, দীর্ঘ ৮ বছর পরে নিউজিল্যান্ডকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মেয়ার্স এবং শেই হোপ প্রথম উইকেটে ১৭৩ রান যোগ করেন। যদিও শাই হোপ খুব ধীর গতিতে খেলেছে। ১০০ বল খেলে তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। হোপ যদি এত স্লো না খেলতেন, তবে হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরও বেশি রান করত। সে ক্ষেত্রে হয়তো হারতে হত না তাদের। হোপ আউট হওয়ার ১ বল পরেই আউট হয়ে যান মেয়ার্স। ১১০ বলে ১২টি চার এবং তিনটি ছক্কার সাহায্যে ১০৫ রান করে তিনি।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার রাস্তা চওড়া করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
এই দুই তারকা সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক নিকোলাস পুরান কোনও ব্যাটারের সঙ্গত পাননি। তবুও তিনি ৫৫ বলে ৪টি চার এবং ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৪৭.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০৭ রান করে ম্যাচ জিতে নেয়। টম লাথাম ৬৯ রান (৭৫বল) করেন এবং এই বড় লক্ষ্য অর্জনে ড্যারেল মিচেলের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১২০ রান করেন। মিচেল করেন ৪৯ বলে ৬৩ রান।
তার আগে অবশ্য মার্টিন গাপ্তিল (৬৪ বলে ৫৭) এবং ডেভন কনওয়ে (৬৩ বলে ৫৬) দ্বিতীয় উইকেটে ৮২ রানের পার্টনারশিপ করেন। শেষ পর্যন্ত, জিমি নিশাম ১১ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান। এই ইনিংসে চারটি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
এর আগে একটি করে ম্যাচ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ড। শেষ ম্যাচে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়ে রেকর্ড গড়ল কিউয়িরা।