শুভব্রত মুখার্জি
মহিলাদের টি-২০ চ্যালেঞ্জের ফাইনালে কার্যত আগেই উঠে গিয়েছিল ট্রেলব্লেজার্স। ফাইনালে ওঠার লড়াইটা ছিল মূলত সুপারনোভাস এবং ভেলোসিটির মধ্যে। সেজন্য ট্রেলব্লেজার্সের বিরুদ্ধে জিততেই হত হরমনপ্রীত কৌরদের। আর রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে স্মৃতি মান্ধানাদের হারিয়ে ভালো নেট রানরেটের সৌজন্যে ফাইনালে উঠে গেল সুপারনোভাস।
শনিবার রাতের ম্যাচে হরমনপ্রীতের দল দু'রানে জিতল। সুপারনোভাসের জয়ের ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল ভেলোসিটি। সোমবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে সুপারনোভাস এবং ট্রেলব্লেজার্স।
প্রসঙ্গত প্রথম ম্যাচে মিতালি রাজের ভেলোসিটির কাছে হেরেছিল হরমনপ্রীতের সুপারনোভাস। পরের ম্যাচেই ভেলোসিটিকে পর্যুদস্ত করে স্মৃতি মান্ধানার ট্রেলব্লেজার্স। ভেলোসিটির ইনিংস সেদিন গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৪৭ রানে। পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি ভেলোসিটি। ৭.৫ ওভারে রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ট্রেলব্লেজার্স। ফলে ভালো নেট রানরেটের সৌজন্যে ফাইনালে কার্যত নিশ্চিত ছিলেন মান্ধানারা।
শনিবার ট্রেলব্লেজার্সের বিরুদ্ধে সুপারনোভাসের মরণবাঁচন ম্যাচ ছিল। দু'রানে সেই ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে গেল সুপারনোভাস। শনিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করেন হরমনপ্রীতরা। ভালো শুরু করেন সুপারনোভাসের দুই ওপেনার আত্তাপাত্তু ও প্রিয়া পুনিয়া। বাংলাদেশের সালমা খাতুনের বলে ডিপ-মিড উইকেটে দীপ্তি শর্মার কাছে ক্যাচ আউট হন প্রিয়া পুনিয়া (৩০)। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮৯ রান।
আত্তাপাত্তু ৪৮ বলে ৬৭ রান করে আউট হন। তারপর জেমাইমা রদ্রিগেজকে (১) আউট করেন ঝুলন গোস্বামী। শশীকলা (২) রান আউট হন। হরমনপ্রীত ২৯ বলে ৩১ রান করে রান আউট হন। রান আউট হন অনুজা পটেলও। শেষ ওভারেই তিনটি রান আউট হয়। তার সৌজন্যে ২০ ওভারে সুপারনোভাসরা করে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান।
রান তাড়া করতে নেমে ট্রেলব্লেজার্স শুরুটা ভালো করে। ১৫ বলে ২৭ রান করে আউট হন ওপেনার ডটিন। রিচা ঘোষ প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরেই দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন। অনুজা পাটিলের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন ট্রেলব্লেজার্সের অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা (৩৩)। হেমলতা করেন মাত্র চার রান । দীপ্তি শর্মা ও হারলিন ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন হারলিন (২৭)। দীপ্তি শর্মার অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস ও তাদের কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারেনি। ট্রেলব্লেজার্স ১৪৪ রানের বেশি আর এগোতে পারেনি।