শুভব্রত মুখার্জি: কেপটাউনে প্রথম সেমিফাইনালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের সাক্ষী থাকল দর্শকরা। টানটান উত্তেজনার ম্যাচ গড়াল একেবারে শেষ ওভার পর্যন্ত। যেখানে ভারতকে মাত্র পাঁচ রানে হারিয়ে দিয়ে ফাইনালে চলে গেল অজিরা। টানা সাতবার মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়ে এক নয়া নজির গড়ল তাঁরা। তাঁদের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন তাঁদের অলরাউন্ডার অ্যাশলে গার্ডনার। ম্যাচ সেরা হয়ে তিনি জানালেন শেষ ওভারে তাঁর হার্টবিট এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তাঁর মনে হচ্ছিল যেন ১৯০-এ পৌঁছে গিয়েছে তাঁর হার্টবিট।
ম্যাচে সেরা হওয়ার পরে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অ্যাশ গার্ডনার জানিয়েছেন 'শেষ ওভারে আমার হার্টবিট ১৯০-এ উঠে গিয়েছিল (হাসি)। আর এভাবেই আমরা দলগতভাবে লড়াইটা করে থাকি। টিম হার্ডেলেও আমরা এটা নিয়েই আলোচনা করেছি বহুবার। লড়াইয়ের রূপরেখা এঁকেছি। ম্যাচ শেষেও আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। ম্যাচে আমরা জেতার জায়গায় ছিলাম না। সেখান থেকে ফিরে এসেছি। তবে ম্যাচে আমরা ফিরে আসার পথ খুঁজে পেয়েছি। আমরা লড়াই করেছি। শেষ পর্যন্ত জিতেছি। ব্যাট হাতে আমরা ম্যাচটা ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে বল হাতে আমরা খুব একটা ভালো বল করিনি। আমাদের কাছে পরিষ্কার ছিল আমরা কী করতে চাই। বল হাতে উইকেট লক্ষ্য করেই বল করাটা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। এই ম্যাচের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমরা পরের ম্যাচে যাব।'
এদিনের সেমিফাইনালে অ্যাশলে গার্ডনার প্রথমে ব্যাট হাতে একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মাত্র ১৮ বলে ৩১ রান করেন তিনি। হাঁকান পাঁচটি চার। অস্ট্রেলিয়া দলকে ১৭২ রানে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন তিনি। এরপরে বল হাতেও কামাল করেছেন তিনি। ৪ ওভার বল করেছেন। দিয়েছেন ৩৭ রান। নিয়েছেন দুটি উইকেট। প্রথমেই ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মন্ধনাকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ধাক্কা দেন ভারতকে। এরপর শেষ দিকে রাধা যাদবকে বোল্ড করে দেন তিনি। পাশাপাশি বিপদজনক হয়ে ওঠা অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউরকে রান আউট করে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েও ম্যাচের রং বদলে দেন তিনি।