'ঝুলনের জন্য ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলাম', দীর্ঘদিনের সতীর্থর সঙ্গেই অস্তাচলে যাওয়ার ইঙ্গিত মিতালির

ভারতীয় ক্রিকেটে কি তবে অবসান হল মিতালি-ঝুলন যুগের?

ঝুলন গোস্বামী। ছবি- টুইটার।

‘সব ভালো জিনিসেরই একটা শেষ থাকে।’ নিজের কথাতেই মিতালি বুঝিয়ে দিলেন তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ। সঙ্গে দীর্ঘদিনের সতীর্থ ঝুলন গোস্বামীকে নিয়েও দিলেন গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে মহিলা বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরে মিতালি রাজ দৃশ্যতই হতাশ। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও হতাশা লুকিয়ে রাখা মুশকিল ছিল। এটাই যে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ, সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। এমনও হতে পারে যে, এটাই তাঁর কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ব্যক্তিগত কেরিয়ার রানে ভরা হলেও দীর্ঘদিন ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপ জেতাতে পারলেন না। এই আক্ষেপ মিতালিকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

ইতিমধ্যেই টি-২০ থেকে অবসর নিয়েছেন। হরমনপ্রীত কউর অপেক্ষা করছেন সব ফর্ম্যাটে নেতৃত্বের ব্যাটন হাতে নেওয়ার জন্য। কেরিয়ারে শেষ প্রান্তে এসে নতুন করে নিজেকে অনুপ্রাণিত করাই কঠিন। বিশ্বকাপ জিতলে হয়ত তড়িঘড়ি অবসর ঘোষণা করে দিতেন। হেরে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে যে সময় লাগবে একটু।

তাই বিশ্বকাপ অভিযান শেষে মিতালি জানালেন, নিজের কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার মতো ঘণ্টাখানেকও সময় পাননি। কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভাবার সময় দরকার হয়। ইঙ্গিতটা অবশ্য বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। বিশ্বকাপ তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক কেরিয়ারও হয়ত শেষ হয়ে গেল মিতালির।

ভারতীয় ক্রিকেটে ঝুলন গোস্বামী যুগেরও অবসান হল সম্ভবত। চোটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি ঝুলন। সাজঘরে বসে বিষন্নমনে সতীর্থদের হার দেখতে হয় তাঁকে। দল যে তাঁর অভাব টের পেয়েছে, সেটা নিজেও বোঝেন ঝুলন। মিতালি ম্যাচের শেষ স্পষ্টই স্বীকার করে নেন সেকথা। সঙ্গে তিনি জানান, ঝুলনের জন্যই ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলেন, যাতে সেমিফাইনালে আরও একটা ম্যাচে ভারতের হয়ে মাঠে নামতে পারেন তারকা পেসার।

সম্ভাবনা ছিল আগে থেকেই। বিশ্বকাপ অভিযানে যবনিকা পতনের সঙ্গে সঙ্গেই হয়ত ভারতীয় ক্রিকেটে মিতালি-ঝুলন যুগেরও সমাপ্তি ঘটল।