ঠিক এরকমই জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে ২০০৮ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ। একসূত্রে গেঁথে গিয়েছিল খেলা ও বিনোদন জগৎ। ভারতে মনোরঞ্জনের উপকরণ হিসেবে বলিউড ও ক্রিকেটের যথাযথ মিশেল চোখে পড়ে সেই থেকেই।
অন্যথা হল না উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের বেলাতেও। শনিবার ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতান দুই বলিউড সুন্দরী কিয়ারা আডবানি ও কৃতি শ্যানন।
দুই তারকার ডান্স পারফর্ম্যান্সের পরে মঞ্চের দখল নেন এপি ধিলন। গানের তালে ডিওয়াই পাতিলের গ্যালারিকে উদ্বেল করেন ধিলন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাদাগ। প্রায় ৪০ মিনিট চলে নাচ-গানের অনুষ্ঠান।
ঠিক তার পরেই একে একে মঞ্চে আসেন বিসিসিআই কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি, সচিব জয় শাহ, ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা-সহ অন্যান্য বোর্ড কর্তারা।
একে একে মঞ্চে ডাকা হয় পাঁচ দলের ক্যাপ্টেন মেগ ল্যানিং, বেথ মুনি, হরমনপ্রীত কউর, স্মৃতি মন্ধনা ও অ্যালিসা হিলিকে। পাঁচ ক্যাপ্টেন একসঙ্গে উন্মোচন করেন উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের ঝকঝকে ট্রফি।
যেমন ধুমধাম করে উদ্বোধন হয় উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ঠিক পরে তেমনই ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট দেখা যায় ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে। চার-ছক্কার ঝড় তুলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই ২০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। হরমনপ্রীত কউর ৩০ বলে ৬৫ রানের মারকাটারি ইনিংস উপহার দেন। তিনি ১৪টি বাউন্ডারি মারেন প্রথম ম্যাচেই। মুম্বই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০৭ রান তোলে।
পালটা ব্যাট করতে নেমে গুজরাট জায়ান্টস অবশ্য লড়াই চালাতে পারেনি। তাদের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৬৪ রানে। যার অর্থ, হরমনপ্রীতের একার রানই তুলতে পারেনি গুজরাট। বাংলার সাইকা ইশাক মাত্র ১১ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। ১৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে প্রথম ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup