মহিলা প্রিমিয়ার লিগে একেবারে আগুনে মেজাজে শেফালি বর্মা। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে একেবারে গুটিয়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বোলাররা। শেফালি বর্মা বরাবরই ঝড়ো ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত। তিনি যখনই খেলেন, বোলাররা কিছুটা আশঙ্কাতেই থাকেন। মহিলা প্রিমিয়ার লিগেও (ডব্লিউপিএল) ঝড় তুলেছেন শেফালি। শেফালি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন। রবিবার এই লিগে প্রথম ম্যাচেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হয়েছে দিল্লি। আর এই ম্যাচেই ঝড় তুলে শেফালি ৮৪ রান করেছেন। সেই সঙ্গে গড়েছেন নজির।
শেফালির নজির
ভারতে অনুষ্ঠিত ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী মরশুমে, সেটা পুরুষ হোক মহিলাদের টুর্নামেন্ট, শেফালির আগে কোনও টিনএজার অর্ধশতরান করতে পারেননি। আইপিএলের উদ্বোধনী মরশুমেও কোনও টিনএজার হাফসেঞ্চুরি করেননি। প্রথম টিনএজার হিসেবে শেফালি বর্মাই প্রথম বার অর্ধশতরান করে নজির গড়ে ফেললেন।
আরও পড়ুন: বড় পার্থক্য হল, এই দলে পন্ত নেই- ভারতের হারের পরেই ঋষভ বন্দনা অজি প্রাক্তনীর
শেফালি এই ম্যাচে ওপেন করতে এসেছিলেন এবং তিনি মাঠে নেমেই বোলারদের গুছিয়ে পিটোতে থাকেন। তিনি এবং দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং মিলে আরসিবি-র বোলারদের ছাতু করেন। এবং তাঁরা জুটিতে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করেন। মহিলা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটি প্রথম সেঞ্চুরির পার্টনারশির। দু'জনে মিলে প্রথম উইকেটে ১৬২ রান করে পেলে।
দ্বিতীয় ওভার থেকেই শুরু হয়ে যায় শেফালি ঝড়
দ্বিতীয় ওভার থেকেই শুরু হয়ে শেফালি বর্মার ঝড়। মেগান শুটের করা এই ওভারের তৃতীয় বলে চার মারেন তিনি। এর পর পঞ্চম বলেও চার মারেন। এমন কী শেষ বলেও তিনি চার হাঁকান। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে প্রীতি বোসকে প্রথম ছক্কা হাঁকান তিনি। এর পর তাঁর ব্যাটের রানোর ফোয়ারা। ৩১ বলে তার ৫০ পূর্ণ করেন তিনি। এবং মহিলা প্রিমিয়ার লিগে হাফ সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নজির গড়েন শেফালি।
আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচার করতেই হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে গেলেন বুমরাহ- রিপোর্ট
সেঞ্চুরি মিস করেন শেফালি
শেফালি যে ভাবে ব্যাটিং করছিলেন, তা দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি ডব্লিউপিএলে প্রথম সেঞ্চুরিটা হাঁকাবেন। কিন্তু হিদার নাইটের বলে ১০০-র থেকে ১৫ রান আগে তাঁর ইনিংস শেষ হয়ে যায়। ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে, শেফালি এগিয়ে গিয়ে শট খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি সেটা মিস করেন এবং উইকেটরক্ষক রিচা ঘোষ তাঁর স্টাম্প উড়িয়ে দেন। ৪৫ বলে ১০টি চার এবং চারটি ছক্কার সাহায্য ৮৪ রান করেন শেফালি। তার আগে একই ওভারের তৃতীয় বলে ল্যানিংকেও সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন হেদার নাইট। মেগ ল্যানিং ৪৩ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে ৭২ রান করেন।
খেলার সংক্ষিপ্ত ফল
প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ২ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে আরসিবি। দিল্লি ম্যাচ জিতে যায় ৬০ রানে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।