‘কবে বাবা বাড়ি ফিরবে?’ দীর্ঘদিন ধরে এই প্রশ্নটাই করতেন মেয়ে। প্রথমে আইপিএল, তারপর অস্ট্রেলিয়া সফরের বায়ো-বাবল থেকে পরিবারের 'ভালোবাসার বলয়ে' ঢুকেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। কয়েকদিন পর আবার দৌড়াতে হবে ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য। তার আগে পরিবারের সঙ্গে যতটা বেশি সময় কাটানো হয়, সেই চেষ্টা করছেন ‘পাপালি’। মেয়ে এবং ছেলের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
তারই ফাঁকে স্ত্রী এবং মেয়ের ‘অনুমতি’ পেয়ে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপচারিতা সারলেন ঋদ্ধি। জানালেন, অস্ট্রেলিয়ায় ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের অনুভূতি কেমন ছিল, কীভাবে ৩৬ রানের ধাক্কা সামলে উঠল ভারত, অজিঙ্কা রাহানের অধিনায়কত্ব কেমন ছিল। কথা বললেন ঋষভ পন্তের বিষয়েও। পন্তকে নিয়ে কী বললেন ঋদ্ধি, তা থাকল এই পর্বে -
প্রথম টেস্টে ঋষভ পন্তের আগে দলে সুযোগ পেয়ে অবাক হয়েছিলেন?
দেখুন, এটা অধিনায়ক এবং ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। অ্যাডিলেডে ম্যাচের কিছুক্ষণ আগেই আমায় জানানো হয়েছিল যে আমি খেলছি। কিন্তু কী কারণে আমি প্রথম একাদশে ঢুকেছিলাম বা সেটা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছিল কিনা, সেটা আমার অজানা। আমার কাজ হল, দলে সুযোগ পাওয়ার পর নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়া। আমি সেটাই করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হয়নি। পেশাদার খেলাধুলোয় এরকম হতে পারে।
ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশেষজ্ঞরা পন্তকে এগিয়ে রাখেন, আবার উইকেটরক্ষক হিসেবে প্রথম পছন্দ আপনি - তাতে আপনার কী মত?
এটা তো সত্যি। সেটা কোনওভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে প্রথম উইকেটরক্ষক, তারপর ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখে এসেছি। এ বিষয়ে ঋষভের কী মতামত, সেটা আমি ঠিক বলতে পারব না। কিন্তু ও যেভাবে ক্রিজে দাঁড়ায় এবং যেভাবে ব্যাট করে, তাতে অন্য পর্যায়ের আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। তবে পুরোটাই টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত যে দলে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান খেলানো হবে নাকি বিশেষজ্ঞ উইকেটরক্ষক খেলানো হবে।
কিন্তু এটা কি আপনার ছন্দ এবং আত্মবিশ্বাসে বাজে প্রভাব ফেলে না?
এরকম সম্ভবত কোনও দেশে হয় না। বিভিন্ন ফরম্যাটে উইকেটরক্ষক পরিবর্তন করতে থাকে বিভিন্ন দল। কিন্তু একই ফরম্যাটে কয়েকটি ম্যাচ ছাড়া ছাড়া উইকেটরক্ষকের পরিবর্তনের নজির দেখা যায় না। তবে আমরা সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের উপর আস্থা দাবি রাখতে হবে। ম্যানেজমেন্ট যদি একটি ম্যাচের পরও উইকেটরক্ষক পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সেটা মেনে নিতে হবে।
এটা নিয়ে পন্তের সঙ্গে আলোচনা হয়?
সত্যি কথা বলতে তেমন নয়। এটা নিয়ে আমার তেমন কোনও সমস্যা নেই। আমি নিশ্চিত যে পন্তেরও কোনও সমস্যা নেই। আমি অবশ্যই চাই যে ও (পন্ত) ভালো করুক। একইভাবে পন্তও চায় যে আমি ভালো করি। দিনের শেষে আমি দু'জনেই চাই যে ভারত জিতুক।
আপনার থেকে পন্ত পরামর্শ চান?
না, আমি নির্দিষ্ট কোনও পরামর্শ দিই না। শুধু অনুশীলনের সময় একটু-আধটু দেখিয়ে দিই। আমার যদি মনে হয় যে উইকেটরক্ষক হিসেবে মাথায় কয়েকটি বিষয় রাখতে হবে, তাহলে আমি সেটা (পন্তকে) জানানোর চেষ্টা করি। যখন ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে অনুশীলন করি, তখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আগের ম্যাচে কী কী ভুল হয়েছে, তাও কখনও কখনও খতিয়ে দেখি। তারপর পরবর্তী ম্যাচের প্রস্তুতি নিই। তাতে আমরা দু'জনেই লাভবান হই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।