২০১৪-১৫'র মেলবোর্ন টেস্টে প্রতিটা সেশনের শুরুতে ইনজেকশন নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছিল ইশান্ত শর্মাকে। হাঁটুর ষন্ত্রণায় টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার এতটাই কাতর ছিলেন যে, একসময় ক্যাপ্টেন ধোনিকে জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে আর ইনজেকশন নেওয়া সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই ধোনি তাঁকে আর বল করতে হবে না বলে আশ্বস্ত করেন। তবে ঠিক তার পরে ইশান্তকে যে কথাগুলো বলেছিলেন মাহি, তা হতভম্ব করে দেয় অভিজ্ঞ পেসারকে।
মোতেরায় কেরিয়ারের শততম টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামার আগে সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ইশান্ত জানান, তাঁকে রীতিমতো স্তম্ভিত করে দিয়ে ধোনি কী বলেছিলেন সেদিন। ইশান্ত আরও জানান, যদি জানতেন মেলবোর্নের সেই টেস্ট ম্যাচটাই হতে চলেছে ধোনির কেরিয়ারের শেষ টেস্ট, তবে যেমন করেই হোক খেলা চালিয়ে যেতেন।
মোলবোর্ন টেস্টের পরেই ধোনি সকলকে চমকে দিয়ে দীর্ঘতম ফর্ম্যাট থেকে অবসর নেন। ম্যাচের শেষ দিন পর্যন্ত সতীর্থরাও কেউ জানতেন না যে, তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।
ইশান্ত বলেন, ‘আমার খুব কষ্ট হয়েছিল (ধোনি আচমকা অবসর নেওয়ায়)। হাঁটুতে ব্যথা থাকায় মেলবোর্ন টেস্টে আমাকে অনেকগুলো ইনজেকশন নিতে হয়েছিল। আমি জানতাম না মাহি ভাই অবসর নিতে চলেছে। আসলে কেউই জানত না যে ও অবসর নেবে। আমকে প্রত্যেকটা সেশনে ইনজেকশন নিতে হচ্ছিল।’
তারকা পেসার আরও বলেন, ‘চতুর্থ দিনের চায়ের বিরতির ঠিক আগে অস্ট্রেলিয়া ডিক্লেয়ার করার মুখে ছিল। আমি মাহি ভাইকে বলি যে, আমার পক্ষে আর ইনজেকশন নেওয়া সম্ভব নয়। ও আমাকে বলে, ঠিক আছে। তোকে আর বল করতে হবে না। তার পরে আমাকে বলে, লম্বু তুনে মুঝে টেস্ট ম্যাচ মে ছোড় দিয়া। আমি ঠিক বুঝতে পারিনি কী বলতে চাইছে। তখন ও বলে, তুই আমাকে আমার শেষ টেস্টের মাঝপথে ছেড়ে দিলি।’
ধোনির কথা শুনে তাঁর কী প্রতিক্রিয়া ছিল, সেটাও জানান ইশান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি হতভম্ব হয়ে যাই। আমি যদি জানতাম মাহি ভাই অবসর নিতে চলেছে, যেভাবে হোক খেলা চালিয়ে যেতাম।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।